মাওয়া ঘাট থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া করে গাবতলী এসেছেন মো. বিল্লাল হোসেন। এজন্য ভাড়া গুনতে হয়েছে চার শ টাকা। সাতক্ষীরা যাওয়ার জন্য বাইকে বেশি ভাড়া গুনে টার্মিনালে এসে পড়েছেন বিপাকে। কারণে অবরোধের কারণে কোনো দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না। কীভাবে যাবেন সেই চিন্তা করছেন তিনি।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে তার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
বিজ্ঞাপন
বিল্লাল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, 'মাওয়া থেকে গাড়ি ছিল না। মোটরসাইকেল ভাড়া কইরা আসছি। ৪০০ টাকা নিছে। এখন যাব সাতক্ষীরায়। এসে দেখি বাসই তো ছাড়ছে না।'
বাস না ছাড়ার কারণে বিপাকে পড়া যাত্রী কেবল বিল্লাল নয়। আরও বেশ কয়েকজন যাত্রীকে সকাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় দেখা গেছে। কিন্তু যাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ায় কোনো বাস টার্মিনাল ছাড়ছে না।
বাস না ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে প্রতিদিনের মতো একই বক্তব্য দেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, যাত্রী সংকট। যাত্রী পেলে বাস ছাড়বেন তারা।
বিজ্ঞাপন
টার্মিনাল সংশ্লিষ্টদের মতে, গাবতলী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়তে অন্তত ৩০ জন যাত্রী প্রয়োজন। এর চেয়ে কম যাত্রী নিয়ে বাস ছাড়লে লোকসান গুনতে হয় তাদের। তবে চলমান অবরোধে ১০ জন যাত্রীও পাচ্ছে না কোনো পরিবহন। ফলে কোনো টার্মিনাল ছাড়ছে না।
বিএনপির ডাকা পঞ্চম ধাপের অবরোধের প্রথম দিন সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রী পেলে সন্ধ্যার পর বাস ছাড়ার প্রস্তুতি আছে বেশ কিছু পরিবহনের।
বাস ছাড়ার ক্ষেত্রে রয়েছে আতঙ্কও। কারণ ২৮ অক্টোবরের পর রাজধানীসহ সারাদেশে দেড় শতাধিক পরিবহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ যার বেশিরভাগই যাত্রীবাহী বাস। এ কারণে জনমনে চরম আতঙ্ক কাজ করছে। ফলে পারতপক্ষে অবরোধ চলাকালে দূরপাল্লার যাত্রী হচ্ছেন না কেউ। তবে অতি প্রয়োজনে যাদের এক জেলা থেকে অন্য জেলার যেতে হচ্ছে, তাদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
কারই/এমআর