সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘উন্নয়ন দেখতে না পাওয়া বিএনপি নেতাদের চোখের নয়, মনের দোষ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০২:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

‘উন্নয়ন দেখতে না পাওয়া বিএনপি নেতাদের চোখের নয়, মনের দোষ’

দেশের উন্নয়ন দেখতে না পাওয়া বিএনপি নেতাদের চোখের নয়, তাদের মনের দোষ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য বিএনপি নেতাদের ঢাকার আধুনিক আই ইনস্টিটিউট গিয়ে চোখের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।


বিজ্ঞাপন


শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বিরোধীদল আছে, যারা আমাদের উন্নয়নটা চোখে দেখে না তাদের কী বলব। এখানে বলার কিছু নেই। যারা চোখ থাকিতে অন্ধ তাদের কী বলব। আমি তাদের একটা পরামর্শ দিতে পারি। আমি কিন্তু ঢাকায় আধুনিক আই ইনস্টিটিউট করেছি। চোখ থাকিতে যারা অন্ধ, তারা সেই আই ইনস্টিটিউটে গিয়ে চোখটা দেখিয়ে আসতে পারেন। মাত্র দশ টাকা টিকিট লাগে। আসলে তাদের চোখের দোষ না, এটা তাদের মনের দোষ।’

আরও পড়ুন

‘ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি নই’

সমাবেশে চলমান অবরোধ-হরতালে গাড়িতে আগুন দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাড়িতে আগুন দিয়ে যারা মানুষ মারতে পারে সেইসব দুর্বৃত্তদের চোখ না, মনই অন্ধকার। কাজেই এদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তারা শুধু ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে না। আমরা সৃষ্টি করি আর তারা ধ্বংস করে।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা হয়েছে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বড় বাজেট দিয়ে আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছি এবং বাস্তবায়নও করেছি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। আমদানি ব্যয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আছে। এজন্য সবাইকে বলব, যতটুকু জমি আছে সেখানে কিছু না কিছু চাষাবাদ করুন। নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করুন। তাহলে আমরা হতে পারবো স্বনির্ভর।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

ট্রেনে চড়ে রামুর পথে প্রধানমন্ত্রী

রেলে সেবার মান বাড়ানো হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, রেলে কক্সবাজার আসা যাবে, এটা অনেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল। আমরা করে দিয়েছি। যমুনা নদীর ওপর পৃথক রেল সেতু করছি। রেলমন্ত্রীর বাড়ি পঞ্চগড়, সেখান থেকে যেন সরাসরি কক্সবাজার আসতে পারে, সে ব্যবস্থা তো করতে হবে।  সুন্দরবন থেকেও যেন ট্রেনে আসা যায় তাও করব। আমাদের পদ্মার ওপারের লোকেরাও রেলে কক্সবাজার আসতে পারবেন। খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন আবার চালু করছি। সমগ্র বাংলাদেশ থেকে যেন কক্সবাজার আসা-যাওয়া করা যায়, সে ব্যবস্থা করছি। রেলেও ওয়াইফাই কানেকশন দেব। রেলে সেবার মান বাড়বে।

বক্তব্যের শেষে নবনির্মিত ১০২ কিলোমিটারের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন

ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়ার দুয়ার খুলল

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, দোহাজারী কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর