রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘কেউ পছন্দ করুক-না করুক, আমরা চাই বিএনপি ভোটে আসুক’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:২৮ পিএম

শেয়ার করুন:

‘কেউ পছন্দ করুক-না করুক, আমরা চাই বিএনপি ভোটে আসুক’

কেউ পছন্দ করুক বা না করুক কমিশন চায় বিএনপি নির্বাচনে আসুক- এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলে এসেছি, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করুক।

শনিবার (৪ নভেম্বর) দুই ধাপে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনাসভা' শেষে তিনি এই কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


সিইসি বলেন, ইসি এককভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। এজন্য সবাইকে সক্রিয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবচেয়ে বড় নজরদারি থাকতে হবে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের পরিবেশটা অনুকূল নয়। কিছু কিছু দল এখনো অংশ নিতে পারছে না। আমরা সেটা স্বীকার করছি। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর বিদ্যমান সংকট নিরসনে নির্বাচন কমিশনের কোনো ম্যান্ডেট নেই। দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকটের সমাধান করে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।

সিইসি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ যাবত প্রস্তুতি অবহিত করা, মতামত গ্রহণ করা ও আমরাও মতামত জানিয়েছি। ২৬টি দল আলোচনায় অংশ নিয়েছে। আলোচনা যথেষ্ট ইতিবাচক ছিল। পরিবেশ নিয়ে কেউ কেউ বলেছেন। অধিকাংশই আমাদের অবস্থানটা বুঝেছেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের নির্বাচন বিষয়ে আমাদের রাজনীতিতে বিদেশিরা এসে অনেক পরামর্শ দিচ্ছেন। অথচ আপনারা দিতে পারছেন না। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আপনারা নেতৃবৃন্দ হিসেবে এ দায়িত্বটা নিতে পারতেন। বারংবার চেষ্টা করতে পারতেন নিজেদের মধ্যে সংলাপ করে একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, আমাদের স্পেস এবং টাইমটা সীমিত। আমরা কিন্তু অনেক বেশি স্পেস নিয়ে কাজ করতে পারি না। আমাদের জন্য সময়সীমা সংবিধানে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আমাদের নির্বাচন করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


পোলিং এজেন্টের বিষয়ে সিইসি বলেন, কিছু কিছু আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জানানো হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন নির্বাচন কমিশন এককভাবে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের সামর্থ্য অত্যন্ত সীমিত। আমরা নির্বাচনটা আয়োজন করি। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বটা আমাদের হস্তান্তর করে দিতে হয়। তাদের ওপরও আমাদের নজরদারি থাকবে।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর