রাজধানীর মুগদায় মিডলাইন পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আরামবাগ এলাকা থেকে যাত্রীবেশে ওই বাসে উঠেছিল তিনজন। পরে মুগদা হাসপাতালের সামনে এলে বাসে আগুন দিয়ে দ্রুত দুজন নেমে যান। পরে আগুন দেওয়া ওই যবুককে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন বাসের স্টাফ ও স্থানীয়রা।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গাড়ির স্টাফরা।
বিজ্ঞাপন
তারা আরও জানান, সকালে মোহাম্মদপুর থেকে খালি বাসটি রওনা হয়। আরামবাগ এলাকায় সর্বমোট ১২ জন যাত্রী উঠেন। এর মধ্যে তিনজন যুবক। মুগদা এলাকায় পৌঁছালে তাদের মধ্যে থেকে একজন বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় দুজন নেয়ে যেতে সক্ষম হলেও একজনকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন বাসের স্টাফ ও স্থানীয়রা।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, তারা হঠাৎ করে বাসটিতে আগুন দেখতে পান। ওই বাসে সর্বমোট ১২ জন যাত্রী ছিল। তবে কেউ হতাহত হয়নি। আগুন লাগার ১৫ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে বাসের আগুন নিভিয়ে ফেলে। এই আগুন নেভানোর কাজে স্থানীয় অনেকে সহযোগিতা করেছেন। তবে ততক্ষণে বাসটির সিট, গ্লাস বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
বাসের স্টাফরা জানান, আগুন দেওয়া যুবক একটি ব্যাগ নিয়ে উঠেছিলেন। সেই ব্যাগেই আগুন দেওয়ার জিনিস ছিল বলে ধারণা করছেন তারা। যুবকটি আগুন দিয়ে দ্রুতবাস থেকে লাফিয়ে নেমে পালানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাসের হেলপার তাকে ধরে ফেলে। বাসটির সামনে তিনজন নারী যাত্রী ছিলেন। বাকিটা পুরুষ ছিলেন। এই পুরুষদের মধ্য থেকে যাত্রী ছদ্মবেশে আগুন দেওয়া যুবক আল-আমিন উঠেছিলেন।
মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ ঢাকা মেইলকে জানান, এ ঘটনা একজনকে আটক করা হয়েছে। তার নাম আল আমিন। আলামিনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। সে সায়দাবাদ এলাকায় থাকে।
এমআইকে/এইউ

