বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। গত রোববারের হরতালের দিনের তুলনায় অবরোধের প্রথম দিন আজ রাজধানীতে যান চলাচল কিছুটা বেড়েছে। জনমনে কিছুটা আতঙ্ক থাকলেও জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে যাচ্ছেন মানুষ।
রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, নতুনবাজার, গুলশান, বাংলামোটর ও কারওয়ান বাজার এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এসব সড়কে সকাল থেকেই যান চলাচল করতে দেখা গেলেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম। সড়কে গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও ছোট যানবাহনও চলাচল করছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল আটটার দিকে নতুনবাজার যাওয়ার জন্য পল্টনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী রাশেদুল। তিনি বলেন, ঢাকায় অবরোধের কোনো প্রভাব দেখছি না। ঢাকার সব রাস্তাতেই অনেক যানবাহন চলাচল করছে।
কারওয়ান বাজারে সকালে মালবাহী পিকআপ, ট্রাক চলতে দেখা গেছে। ঢাকায় ট্রেন ঢুকতে দেখা গেছে সকাল আটটার দিকে।
বিজ্ঞাপন
নতুনবাজার এলাকায় বাস থেমে নামেন আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি। বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করা আসাদ জানান, ‘বাস পেলেও মনের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। কখন কে বাসে আগুন দেয় এই চিন্তা সবসময়ই কাজ করেছে মনে।’
গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। কিন্তু সমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তুমুল সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হলে হরতাল ডাকে বিএনপি।
রোববার হরতাল শেষে তিন দিনের অবরোধ ডাকে প্রায় দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। একই কর্মসূচি দেয় জামায়াতে ইসলামীও। জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা আসে গতকাল সোমবার।
অবরোধের মধ্যেও সারাদেশে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
এমআর

