সরকার পতনের একদফা দাবিতে আগামীকাল ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। অন্যদিকে ঢাকায় শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সমাবেশের একদিন আগেই বুড়িগঙ্গা নদীর পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে বসিলা সেতু পর্যন্ত নদী পারাপারের নৌকা (খেয়া) ঘাটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সরেজমিনে রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে । তবে কয়েকটি ঘাটে দুয়েকটা নৌকা চলাচল করলেও সন্ধ্যা ৭ টার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে দক্ষিণাঞ্চলগামী বিভিন্ন রুটের লঞ্চগুলো ঘাটে যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। এছাড়া প্রায় নির্ধারিত সময়েই লঞ্চগুলো ছেড়ে গিয়েছে।
ঘাটের নৌকার মাঝিরা বলেন , বিকেলের দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে এই ঘাটগুলো বন্ধ করার কথা বলে গিয়েছেন। তবে সন্ধ্যার পর থেকে কেরাণীগঞ্জ অংশ থেকে দুই এককটা নৌকা আসতে দিলেও কোন যাত্রীকে পুলিশ উঠতে দিচ্ছে না ।
বিজ্ঞাপন
নৌকার মাঝি রাসেল বলেন, আমরা এ ঘাট (কেরাণীগঞ্জ অংশ) থেকে কোন লোক নিতে পারছি না। ফাঁকা যাওয়া লাগতেছে। দুইজন পুলিশ আমাদের এসে লোক নিতে মানা করেছেন। শুধু সদরঘাট থেকে লোক নিয়ে আসতেছি ।
আরেক নৌকার মাঝি জলিল মিয়া বলেন, নেতারা আইসা নৌকা চালাতে মানা করছে। অহন নৌকা চালানো বন্ধ রাখছি। নৌকা না চালাতে পারলে দিনের খরচ তুলতে পারুমনা।
কেরাণীগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শিউলী আক্তার বলেন, দুপুরে ডাক্তার দেখাতে আসছি ।এখন বিশ মিনিট দাঁড়াই আছি কিন্তু কোন নৌকা পাচ্ছি না। আগে থেকে ঘোষণা না দিয়ে এরকম নৌকা বন্ধ করে দিলে সমস্যায় তো আমরা পড়েছি।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ঢাকা মেইলকে বলেন, সব রুটে প্রতিদিনের মতো লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। লঞ্চ বন্ধের বিষয়ে কোন নির্দেশনা পাইনি।
সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান ঢাকা মেইলকে বলেন, খেয়া পারাপার বন্ধের বিষয়টা জানা নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। আর ঘাট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার আছে। আমরা নদীতে টহল দিচ্ছি। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘাটে অবস্থান করছে।
প্রতিনিধি/এজেড