দেশের জ্বালানি খাত জীবাশ্মর ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ জ্বালানি আসছে জীবাশ্ম থেকে। তাছাড়া এই খাতের অবকাঠামো, কর্মসংস্থান, প্রতিষ্ঠানগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর। কিন্তু এই চিত্র উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে ভিন্ন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘শক্তি রূপান্তর: কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা’ শীর্ষক ডায়ালগে সিপিডি গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন। গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থানের রূপান্তর ঘটছে বিভিন্ন দেশে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আইএমএফের ‘তোড়জোড়’: আবারও বাড়বে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম?
এক গবেষণায় দেখা গেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেক্টরে বিশ্বব্যাপী ১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে ২০২১ সালে। তার মানে জ্বালানি খাতে অনেক কাজের চাহিদা শেষ হয়ে যাবে, আবার নতুন কাজের ক্ষেত্র গড়ে উঠবে।
তিনি আরও জানান, আগামীতে গ্রিড ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এনালাইসিস, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স দক্ষতায় সমৃদ্ধ কর্মসংস্থান প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্টে দেশে ২০৩০ সাল নাগাদ ১৩ হাজার ৭৭৮ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্টে ১৬ হাজার ৬৬৩ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। শক্তি রূপান্তরের ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ ৮ হাজার ৯১৯ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে শক্তি রূপান্তর যদি উল্লেখ্যযোগ্যভাবে হয় তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে প্রায় ৪ গুন। অর্থাৎ ৩৭ হাজার ২২০ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, নতুন কর্মংস্থানের জন্য চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রস্তুত করতে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন, ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। শক্তি রূপান্তর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থান এবং পলিসি প্রণয়নের তাগিদ দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
টিএই/এইউ