আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধন করে ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় দেওয়া ভাষণে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা বলেন, ফরিদপুর সবসময় অবহেলিত ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন করেছে। ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজকে সম্প্রসারিত ও সেবার আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আমি জানি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ইনশাআল্লাহ, আবার সরকারে এলে সেটা করে দেব।
মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বজন হারানোর ছয় পর দেশে এসেছিলাম। যখন আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল, একটা প্রত্যয় নিয়েই এসেছিলাম। আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, এই দেশের মানুষের ভাতের কষ্ট থাকবে না। কেউ গৃহহীন হয়ে থাকবে না। প্রত্যেকের দোরগোড়ায় চিকিৎসা পৌঁছে দেব। শিক্ষার মান উন্নত করব। উন্নত জীবন দেব। এই লক্ষ্য নিয়েই দেশে ফিরেছি।
বিএনপির সময় দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি বক্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ যেভাবে স্বাধীনতা পেয়েছে, সেভাবে দেশব্যাপী উন্নয়ন পেয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, গত সাড়ে সাড়ে ১৪ বছর যোগাযোগ ব্যবস্থায় সবচেয়ে বশি গুরুত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে মন্তব্য করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চান তিনি।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। যাত্রী হিসেবে টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠেন তিনি। এরপর নিজেই হুইসেল (বাঁশি) বাজান এবং সংকেত দেন ট্রেন ছাড়ার। মাওয়া থেকে ট্রেনে পদ্মা সেতু পার হয়ে ২টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গার জনসভায় যোগ দেন তিনি।
ভাঙ্গা থেকে বিকেল ৪টায় গোপালগঞ্জ যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সাড়ে ৫টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাতে টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে থাকবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
এমআর

