বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব: প্রধানমন্ত্রী
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন। ছবি- সংগৃহীত

রিজার্ভকে কেন্দ্র করে নানামুখী কথা হচ্ছে। রিভার্জ কমার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে বেশি কথা বললে আমি সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার সময় আমাদের আমদানি বন্ধ ছিল, রফতানি বন্ধ ছিল, যাতায়াত বন্ধ ছিল। যার জন্য রিভার্জ বেড়ে গেলো। এরপর যখন সব খুলে গেলো আমাদের আমদানি শুরু হলো, তখন রিজার্ভ কমলো। এটা তো স্বাভাবিক বিষয়।

 

আরও পড়ুন

বিএনপির মিথ্যাচার সম্পর্কে সচেতন থাকুন, দেশবাসীকে শেখ হাসিনা

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তার আগে অনেক আতেলরাই তো ক্ষমতায় ছিলো, অনেক জ্ঞানীগুণীরা ছিলো। রিজার্ভ কত ছিল? এক বিলিয়নও ছিল না। ০.৭৭ মিলিয়ন ছিল। যেটুকু বেড়েছে আমাদের সরকারের আমলেই বেড়েছে।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, দেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখে যদি বলেন রিজার্ভ বাড়াতে, আমি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেই। পানি দেওয়া বন্ধ করে দেই। সার দেওয়া বন্ধ করে দেই। সব বন্ধ করে বসে থাকি, আমার রিজার্ভ রেট ভালো থাকবে।

we
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা

তিনি বলেন, রিজার্ভ রেট বেশি রাখা আমার বেশি প্রয়োজন, নাকি আমার দেশের মানুষের কমফোর্ট, মানুষকে ভালো রাখা বেশি প্রয়োজন?

বিদ্যুৎ ব্যবহারের ওপর মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও এসময় জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে বেশি কথা বললে আমি সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব। ইলেকশনের পরে যদি আসতে পারি আবার করব। তারপর দেখি কে সাহস পায়। সব গুছাইয়াগাছাইয়া দেওয়ার পরে এখন ইলেকশনের কথা, ভোটের কথা, অর্থনীতির পাকা পাকা কথা শুনতে হয়। এগুলো শুনতে আমি রাজি না।

বিদেশ সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কেউ কিছু বলেছে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমার তো মনে পড়ে না। এ ধরণের কোনো কথা হয় নাই। আমাকে কেউ এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসও করে নাই।

 

আরও পড়ুন

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে গরিবের জন্য কী করেছে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

বিরোধী দল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যাদের পার্লামেন্টে একটা সিট নেই, তাদের বিরোধীদল বলা যায় না। নির্বাচন করার মতো সাহস নেই, গণতান্ত্রিক ধারায় যাদের আসন আছে, তারাই বিরোধীদল। রাস্তায় কারা ঘেউ ঘেউ করলো, বিদেশে তাদের বিরোধীদল হিসেবে ধরে না।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি নিয়মিত নজর রাখা হয়, জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে যাচাই করা হয় বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

তিনি বলেন, ৬ মাস পর পর সার্ভে করি। কারও অবস্থান খারাপ হলে মুখের ওপর বলে দেই।

বিএনপি তাদের কর্মসূচিমতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। দলটির টাকার উৎস কি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের খোঁজখবর নেওয়ার পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, তাদের সোর্স অব মানিটা কোথা থেকে? তারা এত টাকা কোথা থেকে পায়?

কারই/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর