এদেশে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন তাকে শেখাতে হবে না। আইয়ুব খানের আমল থেকে তিনি আন্দোলন করে আসছেন বলেও জানান।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামল দত্ত জানতে চান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা। সরকারও একই কথা বলছে। তাহলে আমেরিকা আর সরকারের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যখন আমরা সংগ্রাম করেছি, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য, নির্বাচনের যে সংস্কার ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ভোটার বাক্স, আইন পাস, ভোটের অধিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা, এগুলো তো আওয়ামী লীগই করেছে। তার জন্য আমাদের অনেক মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে। আমাকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাতে হবে না। এখন এত প্রশ্ন আসে কেন?
আরও পড়ুন: লিখিত বক্তব্যে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জানে নির্বাচনে ভোট পাবে না, তারা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা বাস্তব অবস্থাটা বুঝেছে কি না জানি না। একই রেকর্ড তারা বাজিয়ে যাচ্ছে। একটা দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেটাকে থামিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা কি না সেটা প্রশ্ন আমারও।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা নির্বাচন বয়কট করেছে, যারা কলুষিত করেছে, ভোট ডাকাতি করেছে, তাদের কাছ থেকে অবাধ নির্বাচনের কথা শুনতে হয়। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশ পরিচালনা করেছে, সেই সময় তো সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এত মাথাব্যথা কারও দেখিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থান করেন। অধিবেশনে অংশ নেওয়ার ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে লন্ডনে যান। সেখান থেকে দেশে ফেরার আগে শেখ হাসিনা বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন। দেশ দুটিতে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে গত বুধবার দেশে ফেরেন সরকারপ্রধান।
জেবি