বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

শুধু সিটি করপোরেশন বা সরকারি সংস্থা দিয়ে এডিস মশা নির্মূল করা কঠিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

শুধু সিটি করপোরেশন বা সরকারি সংস্থা দিয়ে এডিস মশা নির্মূল করা কঠিন

শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন বা সরকারি সংস্থা দিয়ে এডিস মশা নির্মূল করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘এডিস মশাকে এলিট মশা বলা হয়, যা পরিষ্কার পানিতে জন্ম নেয়। এডিস মশা নর্দমা কিংবা নালা বা খালবিল ও বনজঙ্গলে জন্ম নেয় না। এডিস মশার বংশবৃদ্ধি বাসা বাড়ি, ছাদবাগান, প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত জিনিস, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ারে জমাটবদ্ধ পানি থেকে হতে পারে। এমনকি বাসার বাথরুমের কমোড দীর্ঘদিন ফ্লাশ না করলে তাতেও এডিস মশা জন্মানোর উপযুক্ত জায়গা। তাই যখনই থেমে থেমে বৃষ্টি হয় এবং তারপরে গরম পড়ে এ ধরনের আবহাওয়ায় আমাদের নাগরিকদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমাদের সচেতনতাই ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাস করতে সহায়তা করবে।’

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু ব্যক্তির সচেতন হলে হবে না, সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। দশজন সচেতন হলেও একজন অসচেতন থাকলে সবার ডেঙ্গুর ভয়াবহতা মোকাবিলা করতে হতে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নাগরিক আন্দোলন জরুরি।

মন্ত্রী সভায় জাতীয় কমিটির সদস্যদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা শোনেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান জোরদার করার ওপর সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃত্যু এক হাজার ছাড়াল

সভায় জানানো হয় কেউ পূর্বে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর অবস্থা খুব দ্রুত অবনতি হয় জানিয়ে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবং এর চিকিৎসার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে মিডিয়ার ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় সভায়। মসজিদ-মন্দিরের দৈনন্দিন ও সাপ্তাহিক প্রার্থনার পর ইমাম বা ধর্মীয় নেতাদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর আলোচনা করতে গুরুত্বারোপ করা হয়।

এছাড়া মোবাইলে বিটিসিএল’র মাধ্যমে সচেতনতামূলক মেসেজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে এতে কোনরকম গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ জাতীয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

ডিএইচডি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর