রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রাস্তায় এলোপাতাড়ি গুলির সময় গুলিবিদ্ধ মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল মারা গেছেন। সোমবার সকালে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ভুবন শীল।
ঢাকা মেইলকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুবনের স্ত্রী রত্না রাণী শীল।
বিজ্ঞাপন
গত সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় প্রাইভেটকার আরোহী এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লাগে মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গত শুক্রবার রাতে অস্ত্রোপচার হয় ভুবনের। মাথা থেকে দুটি স্প্লিন্টার বের করেন চিকিৎসকরা।
পপুলার হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে ভুবনের চিকিৎসা চলছিল। শেষ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভুবন।
ভুবন চন্দ্র শীল গুলশানে গোমতী টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন। সেদিন রাতে কাজ শেষে মতিঝিলের আরামবাগের বাসায় ফেরার পথে গুলিবদ্ধ হন তিনি। আরামবাগের বাসায় একা থাকতেন। তার স্ত্রী রত্না রানী শীল একমাত্র সন্তানকে নিয়ে নোয়াখালীর মাইজদীতে থাকেন। রত্না মাইজদীর একটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/এমআর