দ্রব্য মূলের উর্ধ্বগতি ও বিভিন্ন পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি রোধে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। একইসঙ্গে এসব অভিযান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ ভিডিও প্রকাশ করছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। জনগণকে অধিকার সচেতন করতে এবং অনেক বেশি মানুষের মাঝে তাদের অভিযানের প্রভাব ফেলতে এটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি হোটেলে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভোক্তার মহাপরিচালক এ কে এম শফিকুল ইসলাম লাইভ করা সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পাবলিক ভয়েজ রেইজ করাতে হবে। এর মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার আরও অনেক বেশি সংহত করা সম্ভব হবে। মানুষকে ফিল করাতে হবে যে, এটা আমাদের অধিকার। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বর্তমান সময়ে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে আমি কয়টা জায়গায় যেতে পারবো? আমার পক্ষে কতজন মানুষের সাথে কথা বলা সম্ভব? কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অভিযানের ভিডিওগুলোতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হচ্ছে। অসংখ্য মানুষ সেখানে মন্তব্য করছে। আমাদের কয়েকটি ভিডিওতে ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন পর্যন্ত ভিউ হয়েছে। সেখানে মানুষের মন্তব্যগুলো আমি দেখি। ধীরে ধীরে মানুষের ভয়েস রেইজ হচ্ছে। আমি মনেকরি মানুষকে অধিকার সচেতন করতে এটি একটি চমৎকার ও কার্যকর মাধ্যম।
মোবাইলও ইন্টারনেটের গুরুত্ব তুলে ধরে শফিকুল ইসলাম বলেন, মুঠোফোন আমাদের সকল কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল কিছু অনেকাংশেই এর ওপর নির্ভরশীল। আমারা জন বসতির দিক দিয়ে বিশ্ব অষ্ঠম। আবার মুঠোফোন ব্যবহারে বিশ্বে অষ্টম অবস্থায় রয়েছি। এ খাতে আমরা পিছিয়ে নেই। তবে সেবার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। টেলিযোগাযোগ সেবায় প্যাকেজগুলো একটি জটিল বিষয়। এর প্যাকেজের দামগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়েছে। কিন্তু এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ নজরে আসে না। এ বিষয়ে ভয়েস রেইস করা প্রয়োজন। যেন বিটিআরসি বিষয়গুলো নিয়ে আরও ভাবে।
এ সময় জনগণকে সচেতন করতে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনকে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে পাবলিক ভয়েস তৈরি জরুরি। এটি শক্তিশালী হলে যেখানে আমাদের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে সেখানে কাজ করা যাবে। এজন্য সব থেকে বেশি যেটা জরুরি তা হলো মানুষকে অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি অনুভব করা।
এমএইচ/এজেড

