রাজধানীতে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতের চার ঘণ্টা বৃষ্টিতে ডুবেছে বিভিন্ন এলাকা। দুই সিটি করপোরেশনের কুইক রেসপন্স টিম জলাবদ্ধতা নিরসনে চেষ্টা করে গেলেও শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় কোমর সমান পানি দেখা গেছে। এতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া ভোগান্তি এখনও কাটেনি নগরবাসীর।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, গ্রীন রোড ঘুরে দেখা যায়- রাতের জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। কোথাও রয়েছে হাঁটু পানি, কোথাও আবার কোমর পরিমাণ পানি রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় দেখা যায়- কুইক রেসপন্স টিম জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। যদিও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এ নিয়ে তৎপরতা ছিল কম।
বিজ্ঞাপন

দুপুরে ঢাকা কলেজ ঘুরে দেখা যায়- কলেজের হলের সামনে মাঝে মাঝে যেন স্রোত বইছে। পুকুর প্লাবিত হয়ে একাঠিক হলেও পানি প্রবেশ করেছে। এতে শিক্ষার্থীর ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। হল বন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ আশপাশের হলগুলোতে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছে হলে। একই অবস্থা দেখা গেছে গ্রীন রোড এলাকায়।

নিউমার্কেট ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটের ভেতর বাহিরে এখনও কোমর সমান পানি। মিরপুর সড়কেও রয়েছে পানি। ঝিগাতলা থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত অংশে দুপুর পর্যন্তও পানি নামেনি। এসময় দেখা যায়- প্রায় প্রতিটি দোকানেই প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। নিচু দোকনগুলো প্রায় অর্ধেক অংশ পানির নিচে। নষ্ট হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী সাখাওয়াত আল হোসাইন বলেন, সব কিছু পানিতে একাকার। ডাইনিং বন্ধ। হলে পানি উঠেছে। বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। পুরো ক্যাম্পাস যেন পানি আর পানি। এসব পানিতে ময়লা ভাসছে। ভেসে রুমে, হলে ঢুকে পড়ছে।

নিউমার্কের দোকানি নজরুল বলেন, রাতে সব মাল উঁচু করে রেখে গেছি। সকালে এসে দেখি পানি আরও বেড়েছে। দোকানের ক্যাশ বাক্সসহ প্রায় অর্ধেক কাপড় পানিতে ভিজে গেছে।
পাশের এক বই দোকানি জানায়, অন্তত এক হাজার বই ভিজে গেছে। যেন বন্যা হয়েছে নিউমার্কেটে।

এ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাত থেকেই কুইক রেসপন্স টিম জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। কোথাও পানি জমে থাকলে ১৬১০৬ নাম্বারে নগবাসীকে ফোন করতে বলা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে নগরবাসীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে। যদিও এ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
ডিএইচডি/এমএইচএম