ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শাহবাগ থানায় নিয়ে তাদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সহযোদ্ধাদের মারধরের জন্য পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদকে দায়ী করছেন তারা।
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মিমাংসা করেন।
বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন— ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দাবি, এডিসি হারুন শনিবার বিকেলে ৩১তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী পরিচয় দেওয়া ৩১তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।
তাদের দাবি, একপর্যায়ে সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। তখন উপস্থিত ছাত্রলীগের দুই নেতা তার ওপর হামলা চালায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অবশ্য এডিসি হারুনের ঘনিষ্ঠদের দাবি পুরো উল্টো। এই কর্মকর্তার একাধিক ব্যাচমেটের দাবি, নারী পুলিশ কর্মকর্তা ৩৩তম বিসিএসের। একই ক্যাডারের হওয়ায় তিনি চিকিৎসার জন্য বারডেম হাসপাতালের বৈকালিন চেম্বারে চিকিৎসক দেখাতে এডিসি হারুনের সহযোগিতা চান।
বিজ্ঞাপন
তাদের দাবি, চিকিৎসকের কাছে এই নারী পুলিশ কর্মকর্তা যাওয়ার সময় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন সঙ্গে ছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের ওই নেতাদের নিয়ে সেখানে হাজির হন তার স্বামী দাবি করা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। পরবর্তীতে হারুনের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা ঘটে। যা হাতাহাতি রূপ নেয়।
সূত্র জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেনশাহ মাহমুদ। তিনি হস্তক্ষেপ করে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামীকে রক্ষা করেন।
তবে ৩১তম বিসিএসের কয়েকজন কর্মকর্তা ঢাকা মেইলকে জানান, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা নিজেকে স্বামী দাবি করলেও পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়েছে কয়েক বছর আগে।
এদিকে পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছেন এডিসি হারুন। তিনি একটি গণমাধ্যমকে মারধরের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন।
নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এমন কোনো বিষয় জানা নেই। তবে হাঁটার সময়ে আমাদের এক অফিসারের সঙ্গে অন্য এক অফিসারে ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হলেও বিষয়টা সমাধান হয়ে গেছে।’
প্রতিনিধি/বিইউ/এএস

