বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ডাব নিয়ে বৈঠক ডেকে ভোক্তার ডিজির বিস্ময়!

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০৭:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

vokta

আমদানি-রফতানি হয় এমন পণ্যের মতো ডাবের দাম নিয়েও অস্থিরতা চলছে দেশের সর্বত্র। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে বাজারে স্বস্তি ফেরানোর চেষ্টা করে। এবার তাদের বসতে হলো ডাবের অস্বাভবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে।

নিজের দফতর থেকে এমন আয়োজন করলেও ডাবের দাম নিয়ে বৈঠক করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।


বিজ্ঞাপন


ডিজি বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি ডাব নিয়ে আলোচনা সভা করতে হবে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে ডাবের চাহিদা বাড়ায় পণ্যটি দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশেই প্রথম আবিষ্কার হয়েছে ‘ডেঙ্গু ডাব’। এখানে (ডাব নিয়ে) কাজ করতে হবে আমি কখনো ভাবিনি।’

সোমবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ‘যৌক্তিক মূল্যে ডাব ক্রয় বিক্রয় বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা’য় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি এখন থেকে ডাব ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে বলে জানান।

Vokta2


বিজ্ঞাপন


ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে যেমন ডলার সংকট বা বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে— বলা হয়ে থাকে, কিন্তু ডাবের মূল্য বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না। ডাবের দাম বৃদ্ধির সুযোগ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকে নিচ্ছে।’

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ডাব ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ, পাকা ভাউচার ও ডাবের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) থেকে আমরা সারাদেশে এটি পরীক্ষা করব। এগুলো করার পর বাজারে প্রভাব না পড়লে পরবর্তী সময়ে আমরা আরও কাজ করব। ডাবের বাজার যতদিন স্থিতিশীল না হবে, ততদিন আমরা এখানে কাজ কর।’

সভায় ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কারওয়ান বাজারে অভিযানের পর ডাব ব্যবসায়ীরা ছোট ডাব ৪৫ টাকা, মাঝারি ডাব ৬০ টাকা এবং বড় ডাব ৭০ টাকায় উপস্থিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে এবং এই দামে ডাব বিক্রি করলেও তাদের মুনাফা হবে বলে আড়তদাররা জানান।

তবে সভায় ডাবের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে ডাবের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা একে অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেন।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর