শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

অবশেষে ২২ বছর পর পরিবার খুঁজে পেলেন মিজানুর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

অবশেষে ২২ বছর পর পরিবার খুঁজে পেলেন মিজানুর

অবশেষে পরিবারকে খুঁজে পেলেন ২২ বছর পর দেশে ফেরা মিজানুর রহমান। গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) তিনি সৌদি থেকে দেশে ফিরেন। কিন্তু তার পরিবারকে কোনোভাবেই পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি ঠিকানা দিলেও সেখানে মিলছিল না স্বজনদের।  

সেই মিজানুর রহমানকে আজ রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে তার স্বজনদের কাছে তুলে দিয়েছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগ। এসময় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। 


বিজ্ঞাপন


জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, শুক্রবার ১৮ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের ইএ-১৩৬ বিমান যোগে ঢাকায় পৌঁছান মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি এলোমেলোভাবে ঘুরছিলেন। তিনি স্বজনদের ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। কোথায় যাবেন বলতে পারছিলেন না। এ ধরনের ঘটনায় পরিবারের সন্ধান পেতে তারা ব্রাকের সহায়তা নেন। মিজানুর রহমানকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ শনিবার ভোরে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছে হস্তান্তর করেন। তারা তার পরিবারের খোঁজ করার দায়িত্ব নেন। আজকে পরিবারের কাছে তাকে ফিরিয়ে দিতে পারায় ব্রাককে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মিজানুরের পাসপোর্টে থাকা তথ্য মতে, তার বয়স ৫৭। বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালি থানার ১২০ সদরঘাট রোড। পিতার নাম আব্দুল জব্বার। মা ফাতেমা বেগম। পাসপোর্টে চট্টগ্রাম থাকলেও তার বাড়ি আসলে কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালী গ্রামে। 

পরিবারের সদস্যরা জানান, মিজানুর রহমান ২০০১ সালে সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে আর কখনোই দেশে আসেনি। তিনি সেখানে গাড়ি চালাতেন। তিনি যে দেশে এসেছেন পরিবারের কেউ জানতো না।‌ ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন মিজানুরের কথা।


বিজ্ঞাপন


ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন জানান, আজ সেই মিজানুরকে নিতে ভাই রেজাউল করিম ও তার আত্মীয় আমির হামজা এসেছিলেন। বিকেলে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তারা। তারা রাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। মিজানুরের বৃদ্ধ মা অপেক্ষায় আছেন ছেলের জন্য। ২২ বছর পর ছেলের সঙ্গে তার দেখা হবে। এসময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। 

তিনি আরও জানান, সামাজিক মাধ্যমে মিজানুরের স্বজনদের খোঁজ চেয়ে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই ছবি দেখে দুবাই থেকে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করেন এবং জানান তিনি মিজানুরকে চেনে। এরপর তিনি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানান। আজ তারা সকালে আসেন। বিকেলে তাদের হাতে মিজানুরকে তুলে দেওয়া হয়। 
 
এ কাজে সহায়তার জন্য ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরীফুল হাসান এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ, বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, সিভিল এভিয়েশনসহ আমাদের ব্রাকের সব সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের ঢাকা টিমের নয়ন, রায়হান, আঁখি, মাহমুদা, নানজীবা, শাকিল, বাকি বিল্লাহ, চট্টগ্রাম টিমের জহিরুল, মং দাসহ সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই কঠিন কাজটি সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এমআইকে/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর