বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সংসারের সব ব্যাপারে স্ত্রীর বাবা নাক গলান, কী করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

সংসারের সব ব্যাপারে স্ত্রীর বাবা নাক গলান, কী করবেন?

বিয়ের পর বাঙালি নারীর জীবনে আসে বড় পরিবর্তন। চিরচেনা আপন মানুষগুলোকে রেখে সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে পাড়ি জমান তিনি। নতুন করে সাজান সবকিছু। নিজের সংসার তার কাছে তখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। 

এই কথাগুলো মুখে বলা সহজ হলেও, কাজে কঠিন। নতুন পরিবারের সবার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বেশ জটিল বিষয়। এই কারণেই বিয়ের পর প্রথম কিছু মাস নারীর মন পড়ে থাকে বাপের বাড়িতেই। বাবার সঙ্গে মেয়েদের সম্পর্ক বেশি আহ্লাদের হওয়ায় তাদের শূন্যতা বেশি অনুভব করেন মেয়েরা। অন্যদিকে, মেয়ের কষ্ট কোনো মা-বাবাই সহ্য করতে পারেন না। তাই বিয়ের পরও তারা মেয়েকে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করেন। 


বিজ্ঞাপন


father

স্ত্রীর মা-বাবা খোঁজখবর রাখা মন্দ কিছু নয়। তবে পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে স্ত্রীর বাবা আপনার দাম্পত্য জীবনের ছোট-বড় সব বিষয়েই নাক গলাচ্ছেন তবে তা মোটেও সুখকর নয়। প্রতিনিয়ত তিনি যদি আপনাদের জীবনে দখলদারি শুরু করেন, তবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি সুখে সংসার করাই বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন পরিস্থিতি সামলাবেন কী করে? চলুন জেনে নিই- 

স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন 

স্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা দরকার। নয়তো সমস্যার সমাধান হবে না। স্ত্রীকে ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করুন। সংসারের কিছু বিষয় কেবল নিজেদের। সেখানে শ্বশুরের মতামত জানানোর প্রয়োজন নেই—এই বিষয়টি তাকে ভদ্রভাবে বোঝান। তিনি বুঝলেই সমস্যা মিটে যাব। 


বিজ্ঞাপন


father

নির্ভরতার জায়গা হোন 

মেয়েদের কাছে বাবা সুপার হিরো। সব স্বপ্ন পূরণ করার নায়ক। তাই বাবার জন্য মেয়েরা যা খুশি তাই করতে পারেন। বাবা হয় তাদের নির্ভরতার জায়গা। তাই স্ত্রীর নির্ভরতার জায়গা হতে চেষ্টা করুন। বিয়ের পর কিছু মাস তাকে সময় দিন। তার সুখ-দুঃখের খবর রাখুন। স্ত্রী যেন সহজে বাড়ির সবার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, সেই কাজে তাকে সাহায্য করুন। এতে তার বাবার প্রতি নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে।

শ্বশুরকে ভরসা দিন

প্রত্যেক বাবার কাছে তার মেয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো বিশেষণেই এই সম্পর্ককে আপনি ব্যক্ত করতে পারবেন না। বিয়ের পরও মেয়ের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বাবার মন আনছান করে। মেয়ের সুখ-শান্তির কথা চিন্তা করেই তিনি নতুন দাম্পত্যের ঠিক-ভুলে দখলদারি করতে শুরু করেন। এর বাইরে তার কোনো উদ্দেশ্য নেই। তাই চেষ্টা করুন শ্বশুরের মনে ভরসা জোগানোর। তার মেয়েকে যে আপনি একাই সুখে রাখতে পারবেন তা বুঝিয়ে দিন। এই কাজটুকু করে ফেলতে পারলেই দেখবেন তিনি ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।

father

দুই পরিবারকেই সমান নজরে দেখুন

বিয়ের পর স্ত্রী নিজের পরিবার ছেড়ে আপনার বাড়িতে এসেছে। নিজের মা-বাবা থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তার মনে কষ্ট থাকা স্বাভাবিক। এই কষ্ট কমানোর চেষ্টা আপনাকেই করতে হবে। নিজের পরিবারের পাশাপাশি স্ত্রীর পরিবারকেও ভালোবাসার চেষ্টা করুন। মাঝেমধ্যে সময় পেলে শ্বশুরবাড়ি যান। এতেই দেখবেন স্ত্রীর পাশাপাশি শ্বশুরের মনেও একাধিক দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। 

ভুলেও খারাপ আচরণ নয় 

সংসারের একাধিক বিষয়ে স্ত্রীর বাবার অনুপ্রবেশ আপনার পছন্দ না হতেই পারে। তবে পরিস্থিতি যেমনই হোক, মনে রাগ থাকলেও মুখে যেন না তা প্রকাশ না পায়। যা বলতে হয় তা ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন। কোনো মেয়ে তার বাবার বিপক্ষে কিছু শুনতে চায় না। এই বিষয়টি মনে রাখার চেষ্টা করুন। নাহয় সুখের সংসার ভাঙতে সময় লাগবে না।

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর