শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে আমরা ভরসা রাখি নানারকম ওষুধে। সাময়িকভাবে মুক্তি মিললেও এসব ওষুধ স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। আমাদের চারপাশে থাকা বিভিন্ন গাছপালা ও ভেষজ রোগ নিরাময় করতে পারে। সঠিক উপায় মেনে এগুলো সেবন করলে আর ওষুধের প্রয়োজন হয় না। এমনই একটি উপকারি উপাদান অপরাজিতা ফুল।
নীল রঙা অপরাজিতা ফুলপ্রেমীদের ভীষণ পছন্দ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, এটি একটি শক্তিশালী উদ্ভিদ। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ এই ফুলটি পিরিয়ডের ব্যথা, শরীরের ব্যথা, হাঁপানি, কাশি বা দুশ্চিন্তা ইত্যাদি দূর করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আয়ুর্বেদ অনুযায়ী অপরাজিতার কী কী উপকারিতা রয়েছে এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করতে হয়-
বিজ্ঞাপন
অপরাজিতা ফুলের উপকারিতা-
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
আয়ুর্বেদে অপরাজিতার বিশেষ প্রভাব হলো মধ্য। এর মানে হলো, এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারে। শিশুদের জন্য একে সেরা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
লিবিডো উন্নত করে
দেহের লিবিডো কম থাকলে যৌন ইচ্ছা কম থাকে। এই সমস্যার সমাধান করতে অপরাজিতার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে এর কামোদ্দীপক বৈশিষ্ট্যগুলো লিবিডোকে উন্নত করে।
অপরাজিতার অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
এই ফুল ব্যবহারে মাথাব্যথা, পিরিয়ডজনিত ব্যথা, শরীরের যেকোনো অংশে ব্যথা, এনার্জির অভাব, দুর্বল স্মৃতিশক্তি, হাঁপানি, কাশি ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
অপরাজিতা ফুল কীভাবে খেতে হয়?
অপরাজিতা ফুল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো ও উপযুক্ত উপায় হলো চা বানিয়ে পান করা। এই চা তৈরি করতে একটি পাত্রে এক গ্লাস পানি নিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে নিন। এবার এতে কিছু অপরাজিতা ফুল দিন। মাঝারি আঁচে ৫ মিনিট ফুটতে দিন। একটি কাপে পানি ছেঁকে নিন। সঙ্গে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে পান করুন।
অপরাজিতা ফুল কখন খাবেন?
শারীরিক দুর্বলতা কমাতে সকালে অপরাজিতা ফুলের চা পান করুন। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে এটি ঘুমানোর আগে পান করতে হবে। অন্যান্য সমস্যার জন্য খালি পেটে কিংবা খাবারের ১ ঘণ্টা আগে/পরে পান করুন।
সাবধানতা জরুরি
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরাজিতা ফুল এবং এর অন্যান্য উপাদান যেমন মূল, বীজ থেকে উপকার পেতে চাইলে অবশ্যই তা নির্দিষ্ট পরিমাণে সেবন করতে হবে। এসব উপাদান থেকে তৈরি রস ১/২ চামচ এর বেশি সেবন করা উচিত নয়। কেননা বেশি পরিমাণে রস সেবনে শরীরে বিষের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
শারীরিক সমস্যাগুলো দূর করতে ওষুধের ওপর ভরসা না করে প্রাকৃতিক উপাদান কাজে লাগান। তাতে সুস্থ থাকবেন বেশি দিন।
এনএম