গ্রীষ্ম এখনো না আসলেও রোদের তেজ থাকছে ভালোই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে মুমিন বান্দারা সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকেন। দীর্ঘ সময় পানি পান থেকে বিরত থাকায় দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা।
যাদের ঝুঁকি বেশি
বিজ্ঞাপন
পানিশূন্যতা যে কারোরই দেখা দিতে পারে। তবে বয়স্ক, শিশু, ডায়াবেটিস রোগী এবং কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের ঝুঁকি থাকে বেশি।
পানিশূন্যতার উপসর্গ
রমজানে পানিশূন্যতা হলে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা যায়। এগুলো হলো:
শরীর দুর্বল হয়ে পড়া
বিজ্ঞাপন
মুখ ও ত্বক অতিরিক্ত শুকিয়ে যাওয়া
মাথা ঘোরানো
কোষ্ঠকাঠিন্য
জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া
অনেকের ক্ষেত্রে চোখ গর্তে চলে যায়
পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি পেতে
সেহেরি বা ইফতারে অতিরিক্ত মশলাদার ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এসব খাবার শরীরে পানির চাহিদা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয়।
অনেকে ইফতারে ঠান্ডা পানি পান করতে পছন্দ করেন। ফ্রিজ থেকে বের করা ঠান্ডা পানি পিপাসা কমানোর বদলে বাড়িতে তোলে। ফলে সৃষ্টি হয় পানিশূন্যতা। তাই ঠান্ডা পানি পান থেকে বিরত থাকুন।
শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানি অপরিহার্য। ইফতার থেকে শুরু করে সেহেরি পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। এছাড়া ইফতারে রাখতে পারেন সেসব ফল ও শাক-সবজি যাতে প্রচুর পরিমাণ পানি আছে। শসা, তরমুজ, পেঁপে ইত্যাদি উপকারি ফল।
ইফতার বা সেহেরিতে অনেকে চা-কফি পান করেন। কিন্তু অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার দ্রুত পানির পিপাসা বাড়িয়ে দেয়। ফলে তৈরি হয় পানিশূন্যতা। তাই ক্যাফেইন কম গ্রহণ করাই শ্রেয়।
মিষ্টি খাবার অনেকেই পছন্দ করেন। পেস্ট্রি, ডোনাট বা এমন মিষ্টি খাবার শরীরে পানির চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। তাই রমজানে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে মিষ্টি ফল খেতে পারেন।
কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতেই হয়। তবুও যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ, অতিরিক্ত ঘাম দেহে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে। এর ফলে হিট স্ট্রোকও হতে পারে।
পানিশূন্যতা দূর করতে ইফতারে রাখতে পারেন ডাবের পানি বা স্যালাইন।
রমজানে সুস্থ থাকতে ইফতারে পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খান। খাবারের তালিকায় যোগ করুন স্বাস্থ্যকর খাবার। এছাড়া, সুস্থতার জন্য প্রতিদিন গোসল করার অভ্যাস বজায় রাখা আবশ্যক।
এনএম