নারীদের দেহের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া পিরিয়ড। এর সঙ্গে ইস্ট্রোজেনের যোগসূত্র রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা থেকে শুরু করে সন্তানধারণ কর— সব কিছুতেই ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। কেবল নারী বললে ভুল হবে, পুরুষের জন্যও এই হরমোন গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রজনন ছাড়াও হার্ট ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পিরিয়ডের পর মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিক নিয়মেই এই হরমোনের অভাব দেখা যায়। ফলে সৃষ্টি হয় নানা শারীরিক জটিলতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ওষুধ নয় বরং কিছু খাবারের ওপর ভরসা রাখা উচিত। চলুন এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

তিসি
নারীদের দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে তিসি বা ফ্ল্যাকসিডস। এটি ইস্ট্রোজেন হরমোনের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। তিসি বীজে রয়েছে ‘ফাইটোইস্ট্রোজেন’ নামক একটি যৌগ, যা পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস করে।
সয়াবিন
বিজ্ঞাপন
সয়াবিন, সয়া দুধ, টোফু ও ইয়োগার্ট ইত্যাদি স্বাভাবিক ভাবেই ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি সয়াজাতীয় খাবার শরীরে প্রোটিনের অভাবও পূরণ করে।

তিল
তিসির মতো এই খাবারটিও শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম তিল বীজে ‘লিগন্যানস’এর পরিমাণ ০.৫ শতাংশ। সমীক্ষা অনুযায়ী, নিয়মিত তিল খেলে পিরিয়ডের পর নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত থাকে।
ছোলা
ফাইটোইস্ট্রোজেন যৌগটির প্রাকৃতিক উৎস ছোলা। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ছোলা খেলে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বাড়তে পারে প্রায় ৯৯৩ মাইক্রোগ্রাম। কেবল ছোলা নয়, রাজমা, মটরশুঁটি, বিনস খেলেও একইরকম উপকার পাওয়া যায়।

দুগ্ধজাত খাবার
চিজ, দুধ, দই বা দুগ্ধজাত খাবারে সামান্য হলেও ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, সর বা ক্রিম তোলা দুধের চেয়ে ফুল ফ্যাট দুধে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে।
ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো।
এনএম

