অন্যান্য প্রাণীর মতো উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়। গাছ ক্যালসিয়াম মাটি থেকেই সংগ্রহ করে। কিন্তু মাটি থেকে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম গাছ না পেলে এর ঘাটতি দেখা দেয়। তখন গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। গাছের লতায়-পাতায় বাসা বাঁধে রোগ। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী গাছকে রাসায়নিক ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে গাছে নিয়মিত জিপসাম প্রয়োগ করা যেতে পারে।
জিপসাম কী?
বিজ্ঞাপন
প্রকৃত জিপসাম সার আলোতে কিছুটা চিক চিক করে। এই সারের উপাদানগুলো মসৃণ। অনেকটাই পাউডারের মতো। তাই এটা কোমল প্রকৃতির। এ সার সাদাটে বা ধূসর বর্ণের পাউডারের মতো।
জিপসারে ক্যালসিয়াম ছাড়াও সালফার থাকে। যা গাছের জন্য প্রয়োজনীয়।
গাছে জিপসামের অভাবজনিত লক্ষণ
জিপসামে থাকে ক্যালসিয়াম ও সালফার। জানুন এর অভাবে গাছের কী কী ক্ষতি হয়।
বিজ্ঞাপন
উদ্ভিদে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ
পাতা দূর্বল ও বেটে হয়
পাতার মধ্যভাগ ও কিনারা হলুদ হয়
গাছের অগ্রভাগের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়
ফুল ও ফলের কুড়ি অসময়ে ঝড়ে যায়

উদ্ভিদে সালফারের অভাবজনিত লক্ষণ
গাছের বৃদ্ধি ও কুশির সংখ্যা কমে যায়
কচি পাতা হলদে ও ফ্যাকাশে বর্ণ ধারন করে
শস্যের গুনগত মান কমে যায়
গাছ বেটে হয়
ফসল পরিপক্ক হতে দেরি হয় এবং ফলন কমে যায়
গাছে জিপসাম ব্যবহারের উপকারিতা
জিপসার ফসলের সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গাছের পাতা সবুজ করে, শিকড় বৃদ্ধি করে ও কুশির সংখ্যা বাড়ায়।
ফসলের কোষ গঠনে সহায়তা করে।
গাছের নাইট্রোজেন গ্রহনে সহায়তা করে।
সঠিক সময়ে ফসল পরিপক্ক হতে সহায়তা করে।
তৈল জাতীয় ফসলে তৈল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শস্যের গুনগত মান বৃদ্ধি করে।
জিপসামের ব্যবহার
আলু, সরিষা, গম, ভুট্টা, মরিচ, ধানসহ সকল প্রকার তৈল জাতীয় ফসল, ডাল জাতীয় ফসল, শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি, পান, সকল প্রকার ফুল ও ফলে সালফার ও ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণের জন্য এবং আশানুরূপ ফলন পেতে নির্ধারিত মাত্রায় জিপসার ব্যবহার করতে হবে।
জিপসামের প্রয়োগ মাত্রা
একর প্রতি ১৫-২০ কেজি জিপসার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জমিতে ক্যালসিয়াস ও সালফারের অভাবে তারতম্য ভেদে প্রয়োগ মাত্রা কম-বেশি হতে পারে।
এজেড

