শসা পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছে। বিশেষত গরমে সালাদ হিসেবে এই সবজিটি পাতে রাখা হয়। দুপুরের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই লবণ ছড়ানো শসা খেয়ে থাকেন। এতে পানির অভাব যেমন মেটে, তেমনি ক্লান্তি ভাবও কাটে।
নানা উপকারিতা রয়েছে শসার। সেগুলো কি জানা আছে আপনার? না জানলে চলুন আজ জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি-র পাশাপাশি ভিটামিন কে-ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাড়ের জোর এবং টিস্যু মজবুত করে। ভিটামিন কে-র প্রাকৃতিক উৎস শসা। বয়সকালে হাড় ভেঙে যাওয়া বা হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সবজি।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
বিজ্ঞাপন
ওজন কমানোর লক্ষ্য নিয়ে যদি শরীরচর্চা শুরু করেন, তবে খাবারের তালিকায় শসা রাখুন। এই সবজিতে ক্যালোরিতে পরিমাণ কম থাকে। শসা খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। প্রায়ই যাদের মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে তারাও শসা ভেজানো পানি খেতে পারেন।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের উৎস
দৈনন্দিন জীবনে বাড়তে থাকা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দেহের কোষগুলি নষ্ট করে। এই স্ট্রেস বা উদ্বেগ থেকে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, অ্যালঝাইমার্স-সহ নানা দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে শসা। কারণ এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। শসায় থাকা ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেশিয়ামের মতো যৌগ স্ট্রেসজনিত ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
ক্যানসার প্রতিরোধক
শসায় রয়েছে ‘কিউকারবিটাসিন’ নামক একটি যৌগ। এটি শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে মজবুত করে তোলে। যা ক্যানসার হওয়া বা তা ছড়িয়ে পড়া রুখে দিতে সক্ষম। ক্যানসার রিসার্চ পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শসার মধ্যে থাকা একটি যৌগ প্রস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়
উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগলে রোজ খাবারের পাতে রাখুন শসা। মূলত শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম, দু’টি যৌগের ভারসাম্যের ওপর রক্তচাপের মাত্রা নির্ভর করে। শসায় এই দুটি উপাদান ভরপুর থাকে। তাই এটি রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
এনএম

