অতীতের রেকর্ড ভেঙে ফেলছে তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরমে অনেকেই হাঁসফাঁস করছেন। সারাদিন রোজা রেখে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণের অনেকটাই বের হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় পানি শূন্যতা। সঙ্গে থাকে ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খাবারের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। কিছু খাবার রয়েছে আমাদের শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ইফতারের টেবিলে এসব খাবার রাখা জরুরি। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
বিজ্ঞাপন

তরমুজ
সুস্বাদু ফল তরমুজ। বাজারে এখন সুলভ মূল্যে মিলছে ফলটি। ইফতারে অবশ্যই এই পানীয় ফলটি রাখুন। গরমের সময় মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে ডিহাইড্রেশনের আশংকা বাড়ে। তরমুজ এই পানির ঘাটতি দূর করে। চাইলে তরমুজের শরবত করেও খেতে পারেন।
পুদিনা পাতা
বিজ্ঞাপন
শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে পুদিনা পাতা। গরমে প্রশান্তি পেতে পুদিনাপাতা দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া যেতে পারে। ইফতারে খেতে পারেন পুদিনার শরবত, বোরহানি, জিরাপানি ইত্যাদি। সালাদের সঙ্গেও রাখতে পারেন উপকারী এই পাতা। পুদিনা পাতা কুচি করে ঠান্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। চা পান করতে চাইলে পুদিনা চা পান করতে পারেন।

টমেটো
টমেটোতে শতকরা ৯৪ দশমিক ৫ ভাগ পানি। এর জুস কিংবা সালাদ দুটোই সুস্বাদু। তাই গরমের সময় টমেটোর স্যুপ কিংবা ঝোল খেতে পারেন।
শসা
পানি এবং ফাইবার থাকার কারণে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে শসা। এটি খেলে শরীর ঠান্ডা তো হয়ই, সেই সঙ্গে দূর হয় ক্লান্তিও।

দই
গরম কমাতে খুবই উপকারী খাবার হচ্ছে দই। বিশেষত টক দই। এতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডাবের পানি
ডাবের পানিতে রয়েছে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটস, যা শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এনার্জি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন।

লেবু-পানি
সারাদিন রোজা রেখে তৃষ্ণা মেটাতে কোল্ড ড্রিংক না খেয়ে, লেবু-পানি পান শুরু করুন। গরমের সময় শরীরকে সতেজ রাখতে এটি খুবই সহায়ক।
এই গরমে ভাজাপোড়া আর ভারী মসলাদার খাবার যত কম খাবেন তত ভালো থাকবেন।
এনএম

