শীতকাল শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায়। তাই এসময়ে তাদের চাই বাড়তি যত্ন। না হল বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জেনে নিন শীতকালে শিশুর যত্ন-আত্তি সম্পর্কে।
তেল মালিশ কতটা কার্যকর
বিজ্ঞাপন
অভিভাবকদের অনেকেরই ধারণা, বুকে-পিঠে তেল মালিশ করে দিলে বুঝি সর্দি উঠে যাবে। না, তা একেবারেই নয়। এতে সর্দি কাশির ক্ষেত্রে কোনও উপকার হয় না। বরং অন্য কোনও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। উষ্ণ তেল মালিশে বাচ্চার আরাম হয়, রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় ঠিকই।
সরিষার তেল মাখবেন?
যারা সরষার তেল মাখাতে চান বাচ্চাকে, তাদের মনে রাখতে হবে, সব তেল শিশু শরীরের উপযুক্ত নয়। সরিষার তেল মাখলে অনেক শিশুর গায়ে র্যাম ওঠে। মালিশ করতে একান্তই চাইলে বরং বেছে নিন নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল।
প্রতিদিন গোসল নয়
বিজ্ঞাপন
এই ক্ষেত্রে কোনও কড়া নিয়ম নেই। মূল কথা হল পরিচ্ছন্নতা। তাই রোজ গোসল না করালেও অল্টারনেটিভ দিনে রোজ স্পঞ্জ করা প্রয়োজন । একদম সদ্য জন্মানো শিশুকে রোজ গোসল করান অনেকেই। তবে নতুন মায়েরা সবসময় পটু ভাবে সদ্যোজাতকে গোসল করাতে পারেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুর গা স্পঞ্জ করা যেতে পারে।
লেপ-কম্বল চাপা দেওয়া যায় সদ্যোজাতকে ?
না। এতে খেয়াল না রাখলে এতে বিপদ ঘটতে পারে। কম্বল চাপা দিলে যদি বাচ্চার কষ্ট হয়, তাহলে সে তো মুখ ফুটে বলতে পারবে না। বরং লেপ, কম্বলের ভারে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।
কেমন পোশাক পরাবেন?
শিশুকে কয়েক লেয়ারে পোশাক পরাতে হবে। অর্থাৎ বিশাল একটা মোটা কিছু না পরিয়ে একাধিক পোশাক স্তরে স্তরে পরানো যেতে পারে তাপমাত্রা অনুসারে। তাহলে কতটা ঠান্ডা পড়ল, তা ভেবেই বাচ্চাকে ভীষণ ভারী কিছু পোশাক বা জামার উপর জামা পরিয়ে দেবেন না। মাকে বুঝে নিতে হবে শিশুর কি শীত করছে? নাকি মোটা মোটা জামাকাপড়ের নিচে সে ঘেমেগিয়েছে । তা বুঝে নিয়ে জামা পরাতে হবে বা খুলে নিতে হবে।
এজেড