মানুষ কখন কার প্রেমে পড়ে তার কোনো ঠিক নেই। প্রেমের কাছে নশ্বর বয়স, ধর্ম, জাতি, বর্ণ। এসব বিষয়কে তুচ্ছ করে প্রেমের পথে এগিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যাও অসংখ্য। কিন্তু একে অন্যের মুখের ভাষাই যদি না বোঝেন? তবে কি প্রেম সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। এমনটিই করে দেখিয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্লো স্মিথ এবং ইতালির ড্যানিয়েল ম্যারিসকো।
ছুটি কাটাতে এসে দুজনের পরিচয় হয়। কিন্তু কেউ কারো ভাষা বোঝেন। অগত্যা ভরসা গুগল ট্রান্সলেটর। এটি ব্যবহার করেই চলে কথোপকথন। সবশেষে ভাষার বাধা পেরিয়েছে প্রেমের বন্ধন জড়ালেন দুজন।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, বছর দুয়েক আগে ইবিজার এক নাইটক্লাবে ২৩ বছরের ক্লোয়ের আলাপ হয় ২৫ বছরের ড্যানিয়েলের সঙ্গে। একে অপরের ভাষা না জানলেও ড্যানিয়েলকে দেখে ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট হন ক্লো। তিনিই ড্যানিয়েলের দিকে প্রথম বন্ধুত্বের হাত বাড়ান। ড্যানিয়েলকে তার এতটাই পছন্দ হয় যায় যে, তার ফোন নম্বর চেয়ে বসেন। যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেমে পড়া আরকি।
ভাষাগত বাধার তোয়াক্কা না করেই ড্যানিয়েলের প্রেমে পড়েন ক্লো। একে অপরকে ভালোভাবে বুঝতে তারা একসঙ্গে ভিডিও, সিনেমা দেখা শুরু করন। নিজেদের ভাষা বোঝার জন্য ভরসা রাখেন গুগল ট্রান্সলেটরের ওপর।
বিজ্ঞাপন
পরিচয় পর্বের এক সপ্তাহের মধ্যেই ড্যানিয়েল এবং তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ইতালির নেপলসে যান ক্লো। তিনি বলেন, ‘’সবটাই ছিল ভালোবাসার টানে।’
ড্যানিয়েল বলেন, ‘ক্লো অনেক কথা বলত আর হাসত। ওর ভাষা আমি কিছুই বুঝতাম না। শুধু এইটুকু বুঝতাম যে, ও অন্যদের থেকে আলাদা। প্রথম দিন দেখেই আমার ওকে ভাল লেগে যায়। ওকেই জীবনসঙ্গী বানাব বলে ঠিক করে নিই।’
দুই বছর ধরে সম্পর্কে আছেন ক্লো-ড্যানিয়েল যুগল। ক্লো ড্যানিয়েলকে ইংরেজি শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছেন আর ড্যানিয়েল ক্লোকে ইতালীয় খাবার খাওয়া শেখানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। দুজন দুজনের ভাষা না বুঝলেন একসঙ্গে বেশ ভালো আছেন তারা।
