আয়ুর্বেদ অনুসারে, একটি বিরল উপাদান হিমালয়ান সল্ট। নোনতা হলেও এটি স্বাদে কিছুটা মিষ্টি এবং হজমের জন্য হালকা। কেন খাবেন হিমালয়ান সল্ট? এই লবণের উপকারিতা কী? চলুন জেনে নিই-
হজমশক্তি ও মেটাবলিজম বাড়ায়
বিজ্ঞাপন
হজমের সমস্যার জন্য চমৎকার ঘরোয়া প্রতিকার হিমালয়ান লবণ। এক চিমটি হিমালয় লবণের সঙ্গে জোয়ান এবং হিং খেলে পেটের ফোলাভাব, পেট ব্যথার মতো সমস্যায় উপশম হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
নিয়মিত এই লবণ সেবন করলে ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে। ফলে সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি হাড়কে মজবুত করে। এতে থাকা আয়রন রক্তের মাত্রা বাড়ায়। তাই রক্তশূন্যতার সমস্যায় উপকারী।
পেশী ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে
বিজ্ঞাপন
মাঝরাতে পায়ের পেশী হঠাৎ শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়েছেন অনেকে। যারা নিয়মিত পেশী ক্র্যাম্পের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এই লবণ সেরা। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ হিমালয়ান সল্ট মিশিয়ে চুমুক দিয়ে খান। কয়েক মিনিটেই উপকার মিলবে।
রক্তচাপ ও মানসিক চাপ স্থিতিশীল করে
হিমালয় রক সল্টে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। স্যুপের মধ্যে অল্প পরিমাণে হিমালয়ান সল্ট মিশিয়ে খান। হালকা গরম পানিতে হিমালয়ান সল্ট মিশিয়ে গোসল করলে স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাবেন। পাশাপাশি মস্তিষ্ক হবে সক্রিয়, মন থাকবে শীতল। যা ভালো ঘুমের জন্য জরুরি।
গলা ব্যথা উপশম করে
পানিতে এই লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন। গলা ব্যথা কমে যাবে। এর ডিকনজেস্ট্যান্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা কাশি উপশম করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ কমায়
প্রেশার বাড়লে চিকিৎসকরা ময়দা, চিনি, সাদা ভাত, কেক, প্যাটিস, বার্গারের মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে বলেন। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত যারা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভোগেন তাদের একদমই লবণ খাওয়া উচিত নয় বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা। তবে রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে রোজ সকালে আধ চা চামচ হিমালয়ান সল্ট (২.৪) গ্রাম দিয়ে এক গ্লাস লবণ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এনএম