রাশিচক্রে ৫টা রাশি রয়েছে যাদের জাতকদের মধ্যে স্বভাবগত ভাবে কিছু গুণাবলী থাকে, যে কারণে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। জানুন সেই ৫টি রাশির জাতকদের সম্পর্কে।
বৃশ্চিক
বিজ্ঞাপন
এক্ষেত্রে প্রথমেই যে রাশির নাম করতে হয় সেটি হল বৃশ্চিক। এদের কোনও লক্ষ্য বা কাজের পথে যদি কেউ বাধার সৃষ্টি করে বৃশ্চিক রাশির জাতকরা তা কোনো ভাবেই মনে নিতে পারেন না। এদের চরিত্রের বিশেষ গুণাবলী হল, এরা এক দিকে মুখরা হন, অন্য দিকে অত্যন্ত দুর্নীতিপরায়ণ। কোনও পরিস্থিতিতে এরা নিজেদের স্বভাব পরিবর্তন করেন না। এরা চান তাঁদের সঙ্গে সকলে মানিয়ে চলুন, কিন্তু এরা কোনও ভাবেই মানিয়ে চলতে পছন্দ করেন না। একমাত্র যদি কোনও পরিস্থিতে মানিয়ে নিলে এদের লাভ হয়, তবে এরা নিজেদের পরিবর্তন করার কথা ভাবেন। অন্য মানুষের যতই অসুবিধা হোক, এরা কখনই কোনও পরিস্থিতে আপস করেন না। একই সঙ্গে এঁদের মেজাজও সব সময় সপ্তমে চড়ে থাকে। তাই এদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির আগে বুঝেশুনে করুন।
কুম্ভ
এদের দেখে ভীষণ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সরল মনের মানুষ বলে ভ্রম হতে পারে, কিন্তু এরা একেবারেই তা নন। কুম্ভ রাশির জাতকরা সব বিষয়ে অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ এবং সেনসেটিভ হন। অন্য দিকে, সামনের ব্যক্তির প্রতি কোনো রকম সহানুভূতি প্রকাশ করতে চান না। এদের মাথায় কী চলছে তা বোঝা দুঃসাধ্য। কিন্তু এরা আশা করেন যে না বলতেই এদের মনের কথা সকলে বুঝবেন এবং এদের সঙ্গে মানিয়ে নেবেন।
কন্যা
বিজ্ঞাপন
এরা ভীষণ ভাবে অন্যের সমালোচনা করতে ভালোবাসেন। একই সঙ্গে এদের মুখে কোনও আগল থাকে না, যার ফলে সামনের ব্যক্তিকে কী বলছেন তার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অধিকাংশ সময় কথার আঘাতে অন্যদের জর্জরিত করে এরা আনন্দ উপভোগ করে থাকেন। এদের সামনে মনের কথা বলেও শান্তি পাবেন না। সব ক্ষেত্রে এরা ভীষণ জাজমেন্টাল। অন্য খুত ধরতে ভীষণ ভালোবাসেন। মানুষকে হীন প্রতিপন্ন করে তাদের সামনে এরা নিজেদের সুপিরিয়র প্রমাণ করতে যা খুশি তাই করতে পারেন। এটা এই রাশির জাতকদের রক্তে রয়েছে।
মেষ
এই রাশির জাতকরা সব সময় তর্ত-বিতর্ক, ঝগড়া বা মনোমালিন্যের খোঁজে থাকেন। সুযোগ বুঝে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে দ্বিধা করেন না। এরা অন্য কারও সম্পর্কে বিশেষ চিন্তাভাবনা করেন না কারণ এদের কাছে সব সময় তাদের নিজেদের স্বার্থ প্রাধান্য পায়। এদের কোনও কাজে ধৈর্য নেই। কিন্তু বার বার ভুল করা সত্ত্বেও নিজেদের ভুলের কথা কখনও স্বীকার করেন না। অজুহাত সব সময় এঁদের ঠোঁঠের ডগায় থাকে। একই সঙ্গে দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে এঁদের জুড়ি নেই।
মিথুন
ভীষণ ভাবে অ্যাটেনশন সেকার। অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য প্রবলভাবে নাটক করতে পারেন। কখনও আঘাতের, কখনও মনোকষ্ট কখনও বা শারীরিক অসুস্থতার ভান করে মানুষের মনোযোগ নিজের দিকে টানতে চান। এটা করে এরা নিজেদের দোষ ঢাকতে চেষ্টা করেন সব সময়। কিন্তু এদের মনোযোগ ধরে রাখা ততটাই কঠিন। এরা সব সময় নিত্য নতুন জিনিস নিয়ে ভাবতে পছন্দ করেন। কোনও এক বিষয়ে এদের মতি বেশি দিন স্থায়ী হয় না। কিন্তু ভুল করেও কখনও এ কথা তাঁদের বলে ফেললে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে পারেন। এরা আপনার জীবন নরক করে তুলতে পারেন।
এজেড
