বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

লিভার নষ্টের লক্ষণ জানুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৪ এএম

শেয়ার করুন:

লিভার নষ্টের লক্ষণ জানুন

মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ লিভার বা যকৃত। মেটাবলিজম থেকে শুরু করে সিন্থেটিক ফাংশন- অনেক কিছুর জন্যই দায়ী এটি। তাই লিভার সুরক্ষিত রাখা জরুরি। 

ভাইরাস, অ্যালকোহল সেবল, স্থূলতা ইত্যাদি কারণে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলতে থাকলে লিভার সিরোসিস ঘটতে পারে। লিভার ফেইলিওরেএ মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরুপ। 


বিজ্ঞাপন


লিভারের গুরুত্ব কী? 

লিভার পিত্ত উৎপাদন করে যা ক্ষুদ্রান্ত্রে ফ্যাট ভাঙতে এবং শোষণে সহায়তা করে
এটি অ্যালবামিন এবং রক্ত জমাট বাঁধার কারণগুলির মতো প্রোটিনগুলিকে সংশ্লেষিত করে
রক্তে গ্লুকোজ হিসাবে ব্যবহারের জন্য কার্বোহাইড্রেটের বিপাক করে
রক্ত জমাট বাঁধা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তপ্রবাহ থেকে ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে

লিভার কেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়?

অ্যাকুরেট লিভার ডিজিজ, আঘাত পাওয়া, দীর্ঘস্থায়ী রোগ ইত্যাদি কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লিভারের রোগ যেমন হেপাটাইটিস এ বা ই, জ্বর এবং পেটে ব্যথার সাথে রোগীকে অসুস্থ বোধ করাতে পারে। পরবর্তীতে রোগীর জন্ডিস হতে পারে। 


বিজ্ঞাপন


লিভারের ক্ষতির লক্ষণ 

লিভারের ক্ষতি হচ্ছে কি না তা বোঝায় বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। চলুন এগুলো জেনে নিই- 

ত্বকে চুলকানি 

লিভার রোগের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হলো ত্বকে চুলকানি হওয়া। ত্বক চুলকানো জন্ডিসের লক্ষণ হতে পারে। এটি পিত্তনালীতে পাথর, পিত্তনালীতে ক্যানসার বা বিলিয়ারি সিরোসিসের মতো ব্যাধির কারণে হতে পারে। লিভারের রোগের কারণে চুলকানির সাথে সাধারণত কোনো ফুসকুড়ি বা ত্বকের ক্ষত থাকে না।

স্পাইডার এনজিওমাস

মুখ ও পায়ের ত্বকের নিচে যদি ছোট মাকড়সার আকৃতির কোষ দেখতে পান, তবে লিভারের রোগের জন্য পরীক্ষা করা উচিত। উচ্চ মাত্রার ইস্ট্রোজেনের কারণে এমনটা হয়। মদ্যপানের কারণে সিরোসিস আছে এমন লোকেদের মধ্যে স্পাইডার এনজিওমাস বেশি দেখা যায়।

ঘন ঘন ক্ষত ও রক্তপাত

ঘন ঘন ক্ষত ও রক্তপাত হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হলে আঘাতের পরে সহজেই রক্তপাত হয়। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাবের কারণে এমনটা হতে পারে। যা লিভারের সাথে কিছু সমস্যা নির্দেশ করে। লিভারে সমস্যা হলে ত্বকের নিচে রক্ত জমা হয়, যার কারণে ক্ষত তৈরি হয়।

পা ফোলা

যকৃতের ক্ষতি হলে পা ফুলে যেতে পারে। এ কারণে পা ফুলে যায়। যকৃতের অ্যালবুমিনের মতো পর্যাপ্ত রক্তের প্রোটিন তৈরি করতে না পারার কারণেও এডিমা এবং অ্যাসাইট হতে পারে।

রক্ত বমি হওয়া

বমির সঙ্গে রক্তপাত হলে সতর্ক হয়ে যান। এটি লিভার সিরোসিসের লক্ষণ হতে পারে। খাদ্যনালী ও পাকস্থলীতে ভেরিকোজ শিরা থেকে রক্তপাত হল বমি বা মলে রক্ত পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ।

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর