মা-অভিমান ভালোবাসারই অংশ। প্রেমের স্রোতে গা ভাসালে ঝগড়াঝাঁটিকে স্বাভাবিকভাবেই নিতে হয়। অনেকে বলে কিছুটা ঝগড়া ভা অভিমান সম্পর্ককে আরও গাঢ় করে। তবে এই ঝগড়া যেন কোনোভাবে অশান্তির রূপ না নেয় সেই ব্যাপারে সতর্কতা জরুরি।
সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্কে থাকাকালীন কিছু কথা এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। এই কথাগুলো সুন্দর সম্পর্কের মধ্যে দোষারোপ বা বিতৃষ্ণার ছায়া নিয়ে আসে। ঝগড়াঝাঁটি হলে তা দুজন মিলে সমাধান করা যায়। তবে কিছু কথা সঙ্গীকে ঝগড়ার সময় বললে সম্পর্কে ঝামেলা বাড়তে থাকে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

আদৌ ভালোবাসো?
সমস্যা যতই জটিল হোক, সঙ্গীকে কখনো অসম্মান করা চলবে না। কিছু নিয়ে ঝগড়া হলেই তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেবেন না। ভালোবাসা মানেই সবসময় সুসম্পর্ক থাকতে হবে, আপনার সব কথায় গলা মেলাতে হবে— এমনটা নয়। তাই যখন তখন ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন না। এতে সম্পর্ক জটিল হয়।
সত্যি বলছ তো?
বিজ্ঞাপন
মারাত্মক একটি প্রশ্ন এটি। সম্পর্ক শুরুর দিকে তো বটেই এমনকি, মানুষটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার পরেও এই প্রশ্ন করবেন না। সঙ্গী যদি বুঝে ফেলেন যে আপনি তাকে খুব একটা বিশ্বাস করেন না তবে তা সম্পর্কের জন্য শুভ কিছু বয়ে আনবে না। বরং তাকে সন্দেহ হলে গতিবিধিতে নজর দিন। প্রয়োজনে এই প্রশ্নই একটু ঘুরিয়ে নরম সুরে বলুন। আর যদি সত্যিই মিথ্যের আনাগোনা বেশি দেখেন তবে খোলাখুলি কথা বলুন। প্রয়োজনে সম্পর্ক নিয়ে আবার ভাবুন।

সব দোষ তোমার
ঝগড়া হলে অনেকেই এই কথাটি বলেন। তর্ক-বিতর্ক বা নেহাত মাথা গরমের ফাঁদে পড়ে এ কথা অনেকেই বলে ফেলেন সঙ্গীকে। সঙ্গীকে দোষ দেওয়ার এই অভ্যাস থাকলে তাতে রাশ টানুন। সাফল্য যেমন দুজনে ভাগ করে নেন, তেমনি ব্যর্থতার দায়ও দুজনের ঘাড়ে নিন। এতে অপরপক্ষ বুঝবে আপনি তাকে ভরসা করেন।
সঙ্গীর পরিবার নিয়ে কথা
তোমার বাবা এই করেছেন, মা কেন সেই করলেন— এমন কথা কেউই শুনতে চান না। সঙ্গীর পরিবারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক না থাকলেও কখনো তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গীর কাছে বলবেন না। নিজের মা-বাবা বা পরিবারের মানুষদের নিয়ে নেতিবাচক কথা কারোরই ভালো লাগার কথা নয়। এই বিষয়ে সর্তক থাকুন।

প্রাক্তনের সঙ্গে তুলনা
অতীত মানে পুরনো দিনের কথা। বর্তমানে তাকে টেনে আনা বোকামি। ঝগড়ার সময় সঙ্গীর প্রাক্তনের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা বা নিজের প্রাক্তনের সুনাম করা— কোনোটিই উচিত নয়। এতে সম্পর্কে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ব্যস্ততায় সন্দেহ
ফোনে অনেকক্ষণ না পেলেই কিংবা বাড়ি ফিরতে দেরি হলেই সন্দেহের বশে যা মুখে আসে তাই বলেন? এবার তবে তাতে রাশ টানুন। ফোনে কেউ ব্যস্ত থাকতেই পারেন। দরকারি কথা বা নিছক আড্ডাও হতে পারে, তার মানেই তা নিয়ে জটিল কোনও ইঙ্গিতে একা একাই পৌঁছে যাবেন না। এ বিষয়ে জবাবদিহিও করবেন না। এতে সম্পর্ক খারাপ হয়।
এনএম

