স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানে সমস্যা থাকলে চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পরামর্শ দেন। অন্যান্য অস্ত্রোপচারের তুলনায় অনেক গুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এই ‘সি-সেকশন’। যা সিজার হিসেবেও পরিচিত। সাধারণত ভ্রুণের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হলে, গর্ভে একের অধিক সন্তান থাকলে কিংবা ভ্রুণের গলায় নাড়ি জড়িয়ে গেলে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক সি-সেকশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
সন্তান জন্মদানের পর নতুন মায়েদের নানা মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে দিতে যেতে হয়। তাই এমন অস্ত্রোপচার হলে পুনরায় আগের পর্যায়ে ফিরতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও যত্নের প্রয়োজন। সি-সেকশনের পর অস্ত্রোপচারের ক্ষত তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলতে যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন-
বিজ্ঞাপন

১। শরীরে রক্ত সঞ্চালন হওয়া জরুরি। তাই প্রতিদিন অল্পবিস্তর হাঁটার চেষ্টা করুন। মা হওয়ার পর নারীরা মানসিক অবসাদে ভোগেন। কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করলে মন ভালো থাকে।
২। অস্ত্রোপচারের পর যেন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কেননা পেটে চাপ পড়লে তার চাপ সেলাইয়ের ওপর পড়বে। ফলে জটিলতা আরও বাড়বে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে পারেন।

বিজ্ঞাপন
৩। নিয়মিত ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখবেন ক্ষতস্থানে যেন পানি না জমে। এসময় আঁটসাঁট পোশাক পরবেন না। হালকা পোশাক পরবেন যেন হাওয়া বাতাস চলাচল করতে পারে।
৪। স্তন্যপান করানোর সময় বেশিরভাগ নারীর পিঠ আর কোমরে ব্যথা হয়। এজন্য বিশেষ বালিশ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হালকা কিছু ব্যায়াম করতে পারেন।

৫। অস্ত্রোপচারের পর ব্যথা যদি অসহনীয় হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেতে পারেন।
৬। সিজারের পর শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার, শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করুন। একইসঙ্গে পরিমাণমতো ডিম-দুধ, মাছ ও মুরগির মাংস খান।
সন্তান জন্মদানের পর সবাই শিশুকে নিয়ে ব্যস্ত হলেও নতুন মায়ের কথা ভুলে যান। তার শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করুন।
সিজারের পর ব্যাথা হলে করণীয়, সিজারের পর সেলাইয়ের যত্ন, সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ, সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে, সিজারের পর ভারী কাজ, সিজারের পয় খাবার তালিকা
এনএম

