মহামারি করোনাভাইরাস এখন অনেকটাই গা সওয়া হয়েছে! মানুষ এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে শিখছে। মানিয়ে নিচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু তারপরও পরিচিতদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অবস্থা খুব বেশি বেগতিক না হলে যেতে হচ্ছে না হাসপাতালে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বাসায় থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে যারা একবার করোনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের দীর্ঘদিন বেশ কিছু উপসর্গ থেকেই যাচ্ছে। এমনকি ৬ মাস পর্যন্ত এসব উপসর্গ থাকতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ভারতের মেডিকা হার্ট ও একমো টিমের অন্যতম চিকিৎসক ডা. অর্পণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, করোনার ধাক্কা সামলে উঠলেও কারও ফুসফুসের সমস্যা থেকে যাচ্ছে। কেউ ভুগছেন চোখের সমস্যায়। কারও আবার ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যাচ্ছে কারো।
তেমনি ভাবে করোনা থেকে সেরে উঠে হার্টের নানারকম সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন অনেকেই।
করোনামুক্তির পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে হার্ট অ্যাটাকও হয়েছে কারও কারও।
চিকিৎসকরা দেখেছেন, এই রোগীদের কোভিডের পরই হার্টের সমস্যা তৈরি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে করোনা নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার পর কয়েকটি উপসর্গ নিয়ে অনেক রোগীই চিকিৎসকার দ্বারস্থ হচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
কী কী উপসর্গ দীর্ঘমেয়াদে থাকছে?
- বুক ধড়ফড়
- মাথা ঘুরে যাওয়া
- মাথা ঝিমঝিম করা
- ক্লান্তি ভাব
- কাজে অনীহা
- বুকে ধুকপুকানি শব্দ
- কেউ হয়ত দীর্ঘদিন গন্ধ পাচ্ছেন না
- কারও কাশি চলতেই থাকছে
- সিঁড়ি দিয়ে উপর-নিচ করলে হাঁফিয়ে যাচ্ছেন
- হজম হচ্ছে না সহজ ভাবে।
করণীয়
করোনা জয়ী হয়েও স্বাভাবিক জীবনে যেন ফেরা যাচ্ছে না কিছুতেই। ডা. অর্পণ চক্রবর্তী পরমর্শ দিয়েছেন কী করে এসব উপসর্গ কাটিয়ে উঠবেন। তার পরামর্শ বলছে, করোন পরবর্তী অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে দরকার গ্রেড অনুসারে থেরাপি। করোনামুক্ত হওয়ার ঠিক কতদিন পর থেকে কতটুকু পরিশ্রম করা যাবে, কতটা এক্সারসাইজ করা উচিত, সবটাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে।
এজেড