সমবয়সীদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে আপনার সন্তান। অন্যরা যেখানে অ, আ, ক, খ- তে সিদ্ধহস্ত, সেখানে আপনার খুদে ঠিকমতো কথাই বলতে পারছে না। এক্ষেত্রে অভিভাবক হিসেবে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। হতে পারে আপনার শিশুটি বিরল মোয়ামোয়া রোগে আক্রান্ত।
মোয়ামোয়া কী?
বিজ্ঞাপন
এটি একটি বংশগত রোগ। সর্বপ্রথম জাপানে এই রোগের খোঁজ পাওয়া যায়। বিরল এই রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মোয়ামোয়া হলো সেরিব্রোভাসকুলার রোগ, যা মস্তিষ্কে থাকা বেসাল গ্যাংলিয়ায় অবরুদ্ধ ধমনীর কারণে হয়। জাপানি ভাষায়, মোয়ামোয়া শব্দের অর্থ ‘ধোঁয়ার পাফ’।
এই রোগ হলে কী হয়?
এই শারীরিক সমস্যা হলে মাথায় ধোঁয়ার মতো রক্তকণা জমা হতে থাকে। ফলে রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা চলে যায়। ফলে এক একটি অঙ্গ একটু একটু করে কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
বিজ্ঞাপন
উপসর্গ কী?
চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগের উপসর্গ দেরিতে কথা বলা। তাদের পড়তে ও শিখতে সমস্যা হয়। ভুলে যাওয়া সমস্যা দেখা দেয়। বড়রা এ রোগে আক্রান্ত হলে মাথায় তীব্র যন্ত্রণা বা মৃগী রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
কিছু মনে রাখতে না পারা, কাউকে চিনতে না পারা, কোনো কিছু পড়তে অসুবিধা হওয়া এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
চিকিৎসা
মোয়ামোয়া রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে পঞ্চইন্দ্রিয়ের কাজে তার প্রভাব পড়ে। অস্ত্রোপচার ছাড়া এর কোনো চিকিত্সা নেই।
এনএম