গোসলের সময় গায়ে সাবান মাখতে হয়। এটি ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে। দেহকে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। অনেকে শরীরের পাশাপাশি মুখেও সাবান মাখেন? এই কাজটি কি ঠিক?
মুখের ত্বক দেহের অন্যান্য অঙ্গের ত্বকের তুলনায় সংবেদনশীল হয়ে থাকে। তাই ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হয়। এর বদলে সাবান দিলে মুখ ধুলে ত্বকের ক্ষতি হয়। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
বিজ্ঞাপন
উপকারি লিপিড সরিয়ে ফেলে
ত্বকের কোষ থেকে একধরণের উপকারি লিপিড বের হয়। এতে ত্বক সুরক্ষিত থাকে। সাবান ত্বক থেকে লিপিড সরিয়ে ফেলে। ফলে ত্বকের ক্ষতি হয়।
বিজ্ঞাপন
ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করে
সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচ এর মান বদলে যায়। ত্বকের আদর্শ শারীরবৃত্তীয় পিএইচ ৫.৫। কিন্তু সাবানে ক্ষারীয় পিএইচ মাত্রা ৯ পর্যন্ত হয়। যা মুখের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ত্বকের ওপরের স্তরে এনজাইম কার্যকলাপকে পরিবর্তন করে এটি। ফলে ত্বক হয় শুষ্ক ও রুক্ষ।
কেরাটিনোসাইটের ক্ষতি
সাবান ত্বকের ওপরের স্তরকে হাইপার-হাইড্রেট করে। ফলে ত্বকের বিল্ডিং ব্লক অর্থাৎ কেরাটিনোসাইটের ক্ষতি হয়। কোষ ও কোলাজেন ফাইবার ফুলে যায়।
সবমিলিয়ে বলা যায় সাবান ব্যবহারে ত্বকে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে ৫.৫ পিএইচ মাত্রার লিকুইড ফেস ওয়াশ ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো। সাবান ময়লা দূর করলেও, এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় লিপিডের বাধাও তুলে নেয়। অন্য দিকে, ফেস ওয়াশ ময়লা দূর করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর তেল এবং ত্বকের পিএইচ মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে দূষণকারী উপাদান, মেকআপ, তেল এবং গ্রাইম তৈরি হয়। রোজ দুই বার ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলে যাবতীয় ময়লা দূর হয়। এর বদলে সাবান ব্যবহার করলে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। দেখা দেয় নানা সমস্যা।
/এনএম