খাবারের স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। প্রতিদিনের রান্নায় মরিচের ব্যবহার রয়েছে। মাস, মাংস, ডিম কিংবা সবজি-সব পদের তরকারি রান্নায় কাঁচ ঝাল লাগবেই। এই মসলা যে শুধু খাবার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ায় এমনটা নয়, এর জাদুকরি উপকারিতাও আছে। জানুন কাঁচা মরিচের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা।
পুষ্টিবিদরাও রোজ ডায়েটে কাঁচা মরিচ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, আপনিও যদি এই উপকারিতাগুলো পেতে চান তাহলে অবশ্যই রোজ অন্তত ১টা করে কাঁচা মরিচ খান।
বিজ্ঞাপন
কাঁচা মরিচের উপকারিতা
কাঁচা মরিচ স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য গুণের ভান্ডার। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা লঙ্কায় ভিটামিন এ, বিচ, সি, আয়রন, কপার, পটাসিয়াম, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এর পাশাপাশি এই সবজিতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ক্রিপ্টোক্সানথিন, লুটেইন-জেক্সানথিন।

পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা মরিচ খেলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকে রেহাউ পাওয়া যায় সহজেই। আপনি যদি এখনও জানেন না, তাহলে জেনে নিন সবুজ মরিচ খাওয়ার এই স্বাস্থ্যকর উপকারিতাগুলো।
বিজ্ঞাপন
ভিটামিন সিতে ভরপুর
কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আসলে কাঁচা মরিচে পানির পরিমাণ বেশি এবং ক্যালোরিও নগণ্য। যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তাদের পক্ষে এটি খুব উপকারী। এছাড়া এই কাঁচা মরিচের মধ্যে ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। যা শরীরে অন্যান্য ভিটামিনকে শরীরে সঠিকভাবে শোষিত হতে সাহায্য করে।
হজম করতে সাহায্য করে
কাঁচা মরিচ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের একটি ভালো মাধ্যম। কাঁচা মরিচের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে, যার ফলে হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয় না। এর মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে, যা চোখ ও ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। যারা শীতে বাতের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্যও কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। এছাড়া এটি শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমাতেও সহায়ক।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
কাচা মরিচ ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতেও উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের অভ্যন্তরীণ পরিষ্কারের পাশাপাশি ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
কাঁচা মরিচ খেলে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে। অতএব, ধূমপায়ীদের খাদ্যতালিকায় কাঁচা মরিচ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, কারণ এরা ফুসফুসের ক্যানসারে ভোগার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন।
এজেড

