ওজন কমানোর জন্য কত কিছুই না করলেন! বিভিন্ন ধরনের ডায়েট চার্ট মেনে চললেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলে না। ওজন তো কমলোই না, বরং হু হু করে বাড়ল ওজন। হতাশ হবেন না! আপনার শেষ ভরসা হতে পারে ‘কোরিয়ান ডায়েট’। যা ওজন কমাতে শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোনও রকম আপস করতে নারাজ কোরিয়ার মানুষ। এই কারণেই বয়স বাড়লেও তাঁদের ত্বকে তার কোনও ছাপ পড়ে না। সেই সঙ্গে তাঁরা দীর্ঘায়ুও
বিজ্ঞাপন
দিন দিন কোরিয়ান ডায়েটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কেননা, কোরিয়ানদের জীবনযাত্রা নিয়মানুবর্তিতায় মোড়া। স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোনও রকম আপস করতে নারাজ তারা। এই কারণেই বয়স বাড়লেও তাদের ত্বকে তার কোনও ছাপ পড়ে না। সেই সঙ্গে তারা দীর্ঘায়ুও হন। আট হোক কিংবা ৮০, সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকই সুঠাম শরীরের অধিকারী। জানেন কি তাদের সুস্বাস্থ্যের রহস্য কী? রহস্য রয়েছে তাদের ডায়েটে। জেনে নিন কোরিয়ান ডায়েট চার্ট।
সুষম আহার
এমন কিছুই নেই যা কোরিয়ার মানুষ খান না। প্রোটিন থেকে শুরু করে কার্বহাইড্রেট, এমনকি, ফ্যাটও বাদ থাকে না। তবে প্রত্যেকটির মাত্রা হবে ভারসাম্য মেনে। এর পাশাপাশি তাঁর খাবারের পরিমাণ সম্পর্কেও বেশ সচেতন থাকেন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার তারা খান না এবং প্রতিদিন শরীরচর্চাও করেন।
সবজির গুণেই ভরসা
বিজ্ঞাপন
কোরিয়ার মানুষ সবজি খেতে বড়ই ভালোবাসেন। এটিই তাদের সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। অধিকাংশ সবজিই ফাইবার সমৃদ্ধ। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। যা ওজন কম করতে সাহায্য করে। ফাইবার অনেক ক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই উচ্চ ক্যালোরির খাবারের দিকে খুব বেশি নজর দেন না তারা।
ফাস্টফুড নয়, বাড়িতে তৈরি খাবারই প্রিয়
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাড়িতে তৈরি খাবারের কোনও বিকল্প নেই। প্রক্রিয়াজাত, অস্বাস্থ্যকর, ফাস্টফুড শুধু ওজনই বৃদ্ধি করবে না, বরং পাশাপাশি রোগ-ব্যাধির সম্ভাবনাও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারেই ভরসা রাখেন কোরিয়াবাসী। মিষ্টি খাবার খুব বেশি থাকে না তাঁদের ডায়েটে। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে এক বাটি ফল কিংবা ফলের রস খান তাঁরা। সুতরাং সুস্বাস্থ্য চাইলে জিভে লাগাম আনতেই হবে।
হাঁটা-চলায় অনেকটা সময় ব্যয়
কোথাও যেতে গেলে বাস কিংবা গাড়ির পরিবর্তে হাঁটতে অনেক বেশি পছন্দ করেন কোরিয়ার মানুষ। এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত জরুরি। সারা দিনেই যতই কাজ থাকুক না কেন, নিয়মিত ৪০ থেকে ৫০ মিনিট হাঁটাচলা খুবই দরকার। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর শরীরে রোগ-ব্যাধিও বাসা বাঁধবে না।
চা খাওয়ার অভ্যাস
সোডা জাতীয় পানীয় নয়, কোরিয়ার মানুষ বিভিন্ন রকম চা খেতে বেশ পছন্দ করেন। কোরিয়ার খাবারের সঙ্গেই চা পরিবেশন করা হয়। এই চায়ের স্বাদ অবশ্য আমাদের রোজকার চায়ের চেয়ে অনেক আলাদা। বার্লি টি কোরিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। এই চায়ে ক্যালোরির মাত্রা কম এবং খাওয়ার পরই শরীর বেশ খানিকটা স্ফূর্তি পায়। আমাদের দেশেও কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক চা পাওয়া যায়। সাধারণ দুধ-চিনি দিয়ে চা খাওয়ার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর ভেষজ চা পানের অভ্যাস করুন।
এসব অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে আপনার ওজন কমবে। পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠবেন।
এজেড