সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বাতাবি লেবু পানিতে ভাসে, কাগজি লেবু ডুবে যায়

ফারদীন হক জ্যোতি
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ১২:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বাতাবি লেবু পানিতে ভাসে, কাগজি লেবু ডুবে যায়

পৃথিবী বড্ড অদ্ভুত এক স্থান। পৃথিবীর কত কিছুই না আমাদের অজানা তার হিসাব নেই। জানা অজানা অথবা ব্যস্ততায় এড়িয়ে যাওয়া জিনিসগুলো ভালোভাবে জানার সুযোগ হলে আমরা অবাক হয়ে যাই। চারপাশে এমন অনেককিছুই আছে যেসব জিনিসের অনেক কিছুই আমাদের অজানা। এমন কিছু অজানা তথ্য চলুন জেনে নিই-  

wheel


বিজ্ঞাপন


১.বিশ্বের প্রাচীনতম কাঠের চাকাটি প্রায় ৫,০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে

আগেকার যুগে আধুনিক চাকাগুলো ছিল না। বরং সেসময় বিভিন্ন গাড়ি বা যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার করা হতো কাঠের বানানো চাকা। ২০০২ সালে স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুব্লজানার প্রায় ১২ মাইল দক্ষিণে একটি পুরাতন কাঠের চাকা পাওয়া গিয়েছিল। এটি ৫০০০ বছরেরও আগের। ধারণা করা হয় চাকাটি ৫৩৫০ বছরের পুরাতন এবং এখন এটি সেই শহরের জাদুঘরে রাখা হয়েছে।

bat

২. বাম্বলবি ব্যাট হলো বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্তন্যপায়ী প্রাণী


বিজ্ঞাপন


এই বাদুড়টির ওজন ০.০৫ থেকে ০.০৭ আউন্স। মাথা থেকে শরীরের দৈর্ঘ্য ১.১৪ থেকে ১.২৯ ইঞ্চি এবং ডানা ৫.১ থেকে ৫.৭ ইঞ্চি হয়। এটিকে কিছু স্থানে কিট্টির হগ বা নাকযুক্ত ব্যাট বলা হয়ে থাকে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী এটি। 

এই ক্ষুদ্র বাদুড়টি দেখতে আপনাকে দক্ষিণ-পশ্চিম থাইল্যান্ডের কাঞ্চনাবুরি প্রদেশের খোয়াই নোই নদীর তীরে নির্বাচিত কয়েকটি চুনাপাথরের গুহায় যেতে হবে। এখানে পৃথিবীর আরও ক্ষুদ্রতম প্রাণী রয়েছে যা পরিবেশে জন্য একটি বড় ভূমিকা পালন করে।

world

৩. পৃথিবীতে এত সোনা রয়েছে যা দিয়ে পুরো পৃথিবীকে মুড়ে ফেলা যাবে! 

গবেষণার তথ্য মতে আমাদের গ্রহে সত্যিকার অর্থে প্রচুর সোনা আছে। ডিসকভার ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুসারে পৃথিবীর মূল অংশে ৯৯ শতাংশ মূল্যবান ধাতু পাওয়া যেতে পারে। এখানে এত সোনা রয়েছে যে পৃথিবীর সমগ্র পৃষ্ঠকে ১.৫ ফুট সোনা দ্বারা আবৃত করা সম্ভব। 

৪. বাতাবি লেবু পানিতে ভাসে, কিন্তু কাগজি লেবু ডুবে যায়

বাতাবি লেবু হয় আকারে বড়, ডিম্বাকৃতির। এগুলো সাধারণত হলুদ রঙের হয়। অন্যদিকে কাগজি লেবু হয় আকারে ছোট, সবুজ রঙের। সাধারণত চিন্তা থেকে আপনি ভাবতেই পারেন পানিতে বাতাবি লেবু ডুবে যাবে এবং কাগজি লেবু ভেসে থাকবে। তবে সত‍্য হলো যেহেতু কাগজি লেবু, বাতাবি লেবুর চেয়ে ঘন তাই এটি নীচে নেমে যায় এবং বাতাবি লেবু ওপরে ভাসতে থাকে। 

lemon

৫. প্রথম কমলা ‘কমলা’ ছিল না

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূল কমলাগুলি ছিল একটি ট্যানজারিন-পোমেলো হাইব্রিড। এগুলো আসলে সবুজ রঙের ছিল। প্রকৃতপক্ষে, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের মতো উষ্ণ অঞ্চলের কমলা লেবু এখনও পরিপক্ক হলেও সবুজ রঙের থাকে। অর্থাৎ কমলা লেবু মানেই যে কমলা রঙের ফল তা কিন্তু না। নিশ্চয় এখন অনেক দিনের প্রশ্ন ‘কোন "কমলা" আগে এসেছে: রঙ বা ফল?’ এর উত্তর জেনে গেছেন। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর