নিজে থেকে কিছু করার ইচ্ছা মানুষকে নিজের বলার মতো একটি পরিচয় এনে দেয়। কে. এম নাবীউল হাসান পেশায় একজন শিক্ষার্থী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র তিনি। এর পাশাপাশি এই তরুণ একজন উদ্যোক্তাও। পোশাক ও গয়নার অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘কুঞ্জ’র কর্ণধার নাবীউল। এই তরুণ ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন তার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প।
বিজ্ঞাপন
নাবীউলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায়। বর্তমানে পড়াশোনা, ব্যবসার পাশাপাশি একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। কীভাবে ব্যাবসায়িক জীবনে প্রবেশ করেন জানতে চাইলে নাবীউল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুর দিকে নিজের হাতখরচ মেটানোর উদ্দেশ্যে টিউশনি করতাম। সময়টা বেশ ভালো চললেও বিপত্তি বাধে ডিসেম্বর মাসে। সাধারণত এসময় হাতে কোন টিউশনি না থাকায় বছরের শুরুতে বেশ বেগ পেতে হতো। ভাবলাম এমন কিছু করতে হবে যাতে সবসময় হাতে কম-বেশি অর্থ থাকে।’
ছোটবেলা থেকে আঁকাআঁকির প্রতি ঝোঁক ছিল নাবীউলের। এই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়েই ব্যবসা শুরু করে। ৭০০ টাকা পুঁজিতে মাঠে নেমে পড়েন। ২০১৯ সালের পহেলা জুলাই ‘কুঞ্জ’ যাত্রা শুরু করে। একদম প্রথমেই তার বানানো গয়না পরিচিতজনদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
বিজ্ঞাপন
কী কী মেলে কুঞ্জতে। নাবীউল জানান হরেক রকম গয়নার পাশাপাশি তিনি শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, ব্লাউজ, ব্যাগ ইত্যাদি দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করছেন। নিজস্ব ডিজাইনের পণ্যগুলো দেখতে রুচিশীল ও মানসম্পন্ন বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।
পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে নানা বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন নাবীউল। বললেন, ‘একবার এক দম্পতি তাদের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে পরস্পরের জন্য একই দিনে একই ঠিকানায় আমাদের কাছে ২টি পণ্য অর্ডার করেন। তারা চেয়েছিলেন একে অপরকে সারপ্রাইজ দিবেন। কিন্তু আমি ২ জনের পার্সেল একসঙ্গে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম, ফলে পার্সেল খোলার সময় তারা দুজন একসঙ্গে সারপ্রাইজড হয়ে গিয়েছিলেন।’
পরিবার থেকে কেমন সহযোগিতা মিলেছে? প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নাবীউল বলেন, ‘শুরুর দিকে পরিবার থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। বাধাও দেয়নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংকট এসেছে। কিন্তু কখনো মনে হয়নি আমি থেমে যাব।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এই তরুণ বলেন, ‘চাকরির পাশাপাশি নিজের উদ্যোগ নিয়ে বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা আছে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের যেন সৃষ্টি করতে পারি সেটিই প্রত্যাশা।’
এনএম