শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

দুধ খেলে কি কোলেস্টেরল বাড়ে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

দুধ খেলে কি কোলেস্টেরল বাড়ে

স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ খারাপ কোলেস্টেরল। হৃদরোগ চিকিৎসকদের মতে, খাবারের মাধ্যমে দেহে মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল প্রবেশ করলেই বাড়ে ঝুঁকি। অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবার খেলে তা পরিণত হয় ফ্যাটে। তখন দেহের কোষগুলি বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল তৈরি করে।

অনেকেই মনে করেন দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। তাই খাবারতালিকা থেকে বাদ দেন এটি। আসলেই কি তাই? 


বিজ্ঞাপন


milk

চিকিৎসকরা বলছেন, দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ধারণা একেবারেই ভুল। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে দুধের কোনো ভূমিকা নেই।

কোলেস্টেরল বলতে আমরা কেবল চর্বি বুঝি। এটি আসলে এক ধরনের লিপিড স্তর। যেখান ফ্যাট ও প্রোটিন দুই-ই থাকে। আমাদের দেহে খারাপ ও ভাল দুই প্রকারের কোলেস্টেরল থাকে। খারাপ কোলেস্টেরলকে ‘লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ (এলডিএল) এবং ভাল কোলেস্টেরলকে ‘হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ (এইচডিএল) বলা হয়। 

milk


বিজ্ঞাপন


এইচডিএল খারাপ কোলেস্টেরলকে শোষণ করে এবং শরীর সুস্থ রাখে। একইসঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। শরীরে এই কোলেস্টেরলের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা জরুরি। খাদ্যতালিকায় ও জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেই রক্তে এইচডিএল এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। 

‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওবেসিটি’ শীর্ষক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত যে, দুধ পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় না। এই গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে যে, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় দুধ। সমীক্ষা অনুযায়ী, যারা নিয়মিত দুধ পান করেন, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১৪ শতাংশ হ্রাস পায়। পরিমিত পরিমাণে দুধ পান করলে ওজন বাড়ারও কোনও আশঙ্কা থাকে না।

milk

সুস্থ থাকতে সবারই দুধ পান করা উচিত। এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। বার্ধ্যকে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, আয়োডিন। শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য এগুলো অত্যন্ত জরুরি।

দুধের পাশাপাশি কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হলে অনেকে মাংস, ডিমও এড়িয়ে চলেন অনেকে। কিন্তু এসব খাবারে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, ক্যালসিয়াম, প্রোটিনের মতো স্বাস্থ্য উপকারী কিছু উপাদান। 

চিকিৎসকদের মতে, এগুলো সবই খাওয়া যায়। তবে তা খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। সপ্তাহে ৪-৬টি ডিম, দু’বার মুরগির মাংস, এক গ্লাস দুধ দেহের কোনো ক্ষতি করে না। বরং উপকারই করে। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর