শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

মুশফিকুর রহমান
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২২ এএম

শেয়ার করুন:

কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

ছোট্ট একটি গোছানো অফিস। সেখানেই কাজ করছেন কয়েকজন। কেউ গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে ব্যস্ত, কেউবা সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ করছেন। অফিসের কর্ণধার যিনি তাকে দেখলে কিছুটা চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এ যে একজন কিশোর! বলছিলাম কাস্টোমাইজ পোশাক ও নানা অনুষঙ্গের প্রতিষ্ঠান ‘আয়ুপস বিডি’ এর কর্ণধার আব্দুল্লাহর কথা। নিজের ভাবনা, পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়েই যিনি কম বয়সেই হয়েছেন উদ্যোক্তা। 

বিএএফ শাহীন কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ। তার বেড়ে ওঠা বগুড়ায়। ছোটবেলা থেকেই ভিন্ন কিছু করার তাড়না তাকে দাপিয়ে বেড়াত। স্কুলে থাকতেই উদ্যোক্তার খাতায় নাম লেখান আব্দুল্লাহ। ২০১৮ সালে অনলাইনে 'আয়ুপস বিডি' নামে পেইজ খুলে কাস্টোমাইজ পণ্য বিক্রি করতে শুরু করেন। ক্রেতাদের সাড়া পেয়ে একসময় অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও শুরু করেন ব্যবসায়িক কার্যক্রম। 


বিজ্ঞাপন


aiops

‘আয়ুপস বিডি’তে কাস্টোমাইজ মাস্ক, টি-শার্ট, ঘড়ি, ক্যানভাস, ওয়াল ফ্রেমসহ বিভিন্ন কিছু পাওয়া যায়। কেবল নিজের নয়, আরও কয়েকজন তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন আব্দুল্লাহ। ব্যবসা করে যে অর্থ উপার্জন করেন তা দিয়ে কর্মীদের বেতন দেন, নিজে কিছু অর্থ সঞ্চয় করেন। পাশাপাশি কিছু অংশ দিয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করে থাকেন।

উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ বলেন, ‘শুরুতে ভাবতাম ব্যতিক্রমী কিছু করার। তখন মাথায় এলো কোনো প্রোডাক্ট কাস্টোমাইজ করে আমি বিক্রি করতে পারি। তারপর এ বিষয়ে জানতে শুরু করলাম। দেখলাম কিছু মেশিন কিনতে হবে। তখন গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু করলাম। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে যা উপার্জন হতো, তা জমিয়ে রাখতাম। ৬-৭ মাস পর জমানো টাকা দিয়ে মেশিন কিনি। তারপর কাস্টোমাইজ মাস্ক, টি-শার্ট ইত্যাদি বিক্রি করতে শুরু করি।’

aiops


বিজ্ঞাপন


‘প্রথমে শুধু অনলাইনেই পণ্য বিক্রি করতাম। পরে একটি অফিস নিয়ে ফেলি। এখন অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও পণ্য বিক্রি করছি।’- যোগ করেন এই কিশোর। 

বর্তমানে আব্দুল্লাহর প্রতিষ্ঠানে প্রতি সেক্টরে আলাদা কর্মী আছে। কেউ গ্রাফিক্স ডিজাইন, কেউ অফিস দেখাশোনা, কেউবা সোশ্যাল মিডিয়া দেখাশোনা করেন। ব্যবসার মাধ্যমে যা আয় হয়, তা কর্মীদের দিয়ে বাকিটা জমিয়ে রাখেন তিনি। 

aiops

রুটিন মেনে কাজ করেন আব্দুল্লাহ। কখন পড়াশোনা করবেন আর কখন ব্যবসায়িক কাজ করবেন তা আগেই ঠিক করা থাকে। তাই পড়াশোনা আর ব্যবসা দুটোই সমানতালে সামলে নিচ্ছেন এই কিশোর।।

ভবিষ্যতে আব্দুল্লাহ তার ‘আয়ুপস বিডি’ প্রতিষ্ঠানকে একটি ব্র্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখেন। অল্প দামে ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে চান তিনি। তার বিশ্বাস, পরিশ্রম এবং লেগে থাকার মানসিকতা থাকলে যেকোনো কাজে সফল হওয়া সম্ভব। 

লেখক: মুশফিকুর রহমান, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থী

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর