ডিম কম-বেশি সবারই খাওয়া হয়। প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস এটি। সাধারণত ডিম খাওয়ার পর এর খোসা ফেলে দেওয়া হয়। জানলে অবাক হবেন, এই খোসা কিন্তু মোটেও ফেলনা নয়।
ঘরের নানা কাজ থেকে শুরু করে রূপচর্চা— সবকিছুতেই ডিমের খোসা ব্যবহার করা যায়। চলুন ফেলনা এই খোসার নানা ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন
পাতিল পুড়ে গেলে
অনেকসময় ভুলক্রমে কড়াই বা পাতিল পুড়ে যায়। আর এই পোড়া দাগ তোলা খুব কষ্টের কাজ। এক্ষেত্রে ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ডিমের পরিষ্কার খোসাগুলি গুঁড়ো করে নিন। এবার পাত্রের মধ্যে খোসার গুঁড়ো, লবণ আর পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটলে তা ফেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে পাতিল ধুয়ে ফেলুন। পোড়া দাগ সহজেই উঠবে।
টিকটিকির উপদ্রব কমাতে
বিজ্ঞাপন
ঘরে টিকটিকি বেড়েছে। ডিমের খোসা ঘরের কোণে রেখে দিন। টিকটিকির উপদ্রব কমবে।
সার হিসেবে ব্যবহার
আপনি যদি একজন বৃক্ষপ্রেমী হয়ে থাকেন তবে সার হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের খোসা গুঁড়ো করে টবের মাটিতে ছড়িয়ে দিন। পোকামাকড় থেকে গাছকে রক্ষা করবে এটি। বিশেষ করে টমেটো আর মরিচ গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা দিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
স্ক্রাব হিসেবে
ত্বকের যত্নেও ডিমের খোসা ব্যবহার করা যায়। ডিমের খোসা গুঁড়ো করে তার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানি দিয়ে হালকা হাতে ঘষে তুলে নিন। এতে ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর হবে। ত্বক হবে মলিন।
বাতের ব্যথায়
বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? ডিমের খোসার সাহায্য নিন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দুদিন রেখে দিন। ব্যথার জায়গায় মিশ্রণটি মালিশ করুন। টানা কিছু দিন ব্যবহার করলেই মিলবে উপশম।
এছাড়া পাখির খাবার হিসেবে ডিমের খোসা ব্যবহার করতেন। সেক্ষেত্রে খোসা গুঁড়ো করে নিতে হবে। চাইলে এই খোসা দিয়েই বানানো যায় নানা অন্দরসজ্জা।
এনএম