বৃষ্টি ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। মেঘলা আকাশ, রিমঝিম ধারা কিংবা ঝুম বৃষ্টি- মন ভালো করতে সবগুলোই সেরা। কালো মেঘের পানে চেয়ে যেমন মন হয় আনমনা, তেমনি বৃষ্টির শব্দে নেচে ওঠে মন। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে এবং খিচুড়ি পাতে বৃষ্টি উপভোগ করেন এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
বৃষ্টি বা মেঘলা আকাশ দেখে ছবি তুলতে চেয়েছেন বা তুলেছেন নিশ্চয়ই। আলোকচিত্রী তারেক মাহমুদও লেন্সের চোখে দেখেছেন বৃষ্টির রূপ। ক্যামেরাবন্দি করেছেন সেগুলোকে। তার ক্যামেরার ফ্রেমে আটকানো ১০০ বৃষ্টির ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি অ্যালবাম রয়েছে। সেখানকারই কিছু ছবি চলুন দেখে নেওয়া যাক।
বিজ্ঞাপন
বৃষ্টির আগ মুহূর্তের এই দৃশ্য অগণিতবার দেখেছেন হয়তো। কালো মেঘের শামিয়ানা ছড়িয়ে আছে বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠের ওপর।
বৃষ্টি মানেই প্রকৃতির আনন্দের উপলক্ষ। নতুন জীবনের আগমনী বার্তা।
গ্রাম্য কৃষকের কাজ চলে বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই। খানিকটা বিরতিতে ছাতা মাথায় দুজন হয়তো ফসলের গল্পেই মেতেছেন।
তারেকের তোলা ১০০ বৃষ্টির ছবি: 100 rains 100 miles
বিজ্ঞাপন
বৃষ্টি হলেই দামাল ছেলের দল নেমে পড়ে মাঠে, মেতে উঠে খেলায়। বৃষ্টি, কাদামাটি আর ফুটবলের এই বন্ধন যে বেশ পুরনো।
মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে গেলে ‘কাক ভেজা’ বলা হয়। কাক বৃষ্টিতে ভিজলে তাকে কী বলে?
ফুলপরীরা স্নান করে বৃষ্টি জলে। গায়ের ধুলো ধুয়ে সাজে নতুন করে।
বৃষ্টির ধারা ধুয়ে দেয় সব মন খারাপের গল্প। তরুণীর মন তখন হয়ে ওঠে চঞ্চলা, আনমনা।
জীবন আর জীবিকা যাদের নদীকেন্দ্রিক তাদের তো আর ছুটি নেই। ঠান্ডাভাব ধুর করতে হয়তো গায়ের পোশাকই জড়িয়ে রাখেন।
শহরের বুকে বৃষ্টি আসে প্রেমের বার্তা নিয়ে। যুগলকে এক ছাতার নিচে বন্দি করার বিদ্যা তার ভালোই জানা।
তাই বলে সবসময় বৃষ্টি আনন্দ নিয়ে আসে না। জলাবদ্ধতা, ট্রাফিক জ্যাম বৃষ্টির সৌন্দর্য কাড়তে যথেষ্ট।
এনএম