নিউমারোলজির সাহায্যে যেভাবে উপযুক্ত জীবনসঙ্গী খুঁজবেন

নিউমারোলজির সাহায্যে নিজের জন্য উপযুক্ত জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারেন। সংখ্যা জ্যোতিষ অনুযায়ী জাতক ছোট না-বড় সন্তান, তাদের নামের অক্ষর ইত্যাদি দুই জাতকের মধ্যে বিবাহের উপযুক্ত সঙ্গতি স্থাপনে সাহায্য করে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মনে করছে মানসিক, সেক্সুয়াল এবং উভয়ের নামের মধ্যে অসঙ্গতি এর জন্য দায়ী। এই তিনটি কারণে অধিকাংশ বিবাহে সমস্যা ও ভারসাম্য হীনতা দেখা দিচ্ছে।
বর্তমানে পরিবারে সদস্যদের সংখ্যা কমছে। এখন একক পরিবারের প্রতি প্রত্যেকের ঝোঁক রয়েছে। এ সময় এমন একজন জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন যার সঙ্গে আপনি সুখে সময় কাটাতে পারেন, নিজের সুখী পরিবার গড়ে তুলতে পারেন এবং যার সঙ্গে মিলে জীবনের প্রতিটি বসন্ত উপভোগ করবেন।
আপনার জীবন পথ সংখ্যা ১ হলে ভুলেও এই জাতকদের প্রেমে পড়বেন না
এ ক্ষেত্রে জ্যোতিষ শাস্ত্রের সাহায্যে নিজের উপযুক্ত জীবনসঙ্গী খোঁজা সম্ভব। তবে নিজের উপযুক্ত জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার পথ দেখাচ্ছে সংখ্যা জ্যোতিষ। নাম ও জন্ম তারিখের সাহায্য দুজনের মধ্যে দাম্পত্য জীবন যাপনের উপযুক্ত সঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খুঁজে বের করতে পারে এই জ্যোতিষ।
জ্যৈষ্ঠ বা কনিষ্ঠ সন্তান বিচার
বিবাহ উপযুক্ত জাতক বা জাতিকা মা-বাবার বড়, মেজো বা ছোট সন্তান কি না, তাও তাদের জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। ব্যক্তির চিন্তাভাবনা, ব্যক্তিত্ব সমস্তের ওপরই তাদের এই বার্থ অর্ডারের প্রভাব থাকে।
দুজনের মধ্যে মানসিক সঙ্গতি থাকবে কী না, তা এর সাহায্যে যাচাই করে দেখা যায়। যেমন পরিবারের বড় সন্তানের সঙ্গে অন্য কোনও পরিবারের মেজো বা ছোট সন্তানের বিয়ে দিতে পারেন। ঠিক তেমনই মেজো বা ছোট সন্তানের বিয়ে অন্য কোনও পরিবারের বড় ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে দেওয়া যায়।
নাম
বিবাহের জন্য দুজনের সঙ্গতি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তাদের নাম মিলিয়ে দেখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহের জন্য় জাতক ও জাতিকার মধ্যে সঙ্গতি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে নামের প্রতিটি অক্ষরের বিচার অপরিহার্য। যেমন নামের প্রথম ও শেষ অক্ষরের উপাদান জন্ম তারিখের সঙ্গে এক যোগে বিচার করলে উভয়ের মধ্যে কামশক্তির সঙ্গতি বিষয় জানা যায়।
নামের অক্ষরের মধ্যে সঙ্গতি স্থাপন না হওয়া সত্ত্বেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে কোনও না-কোনও সময়ে দম্পতির মধ্যে সেক্সুয়াল ইনকম্প্যাটিবিলিটি দেখা দিতে পারে। যা অনেক সময় বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কনকর্ড
এর সাহায্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীতে প্রতিটি সংখ্যাকে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। একই শ্রেণীবদ্ধ গোষ্ঠীর সংখ্যার জাতকদের মধ্যে আকর্ষণ দেখা যায়। এদের মধ্যে একাত্ম হওয়ার প্রবণতাও রয়েছে। একই শ্রেণীবদ্ধ গোষ্ঠীর সংখ্যা যেমন ৩, ৬ ও ৯-এর জাতকরা স্বাভাবিক ভাবেই পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। এরা দীর্ঘ মেয়াদি বা স্বল্পমেয়াদি সম্পর্কে জড়াতে পারেন।
এজেড