রোববার, ১৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

যে জলপ্রপাতের ধারা উল্টোমুখী

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২, ১১:০০ এএম

শেয়ার করুন:

যে জলপ্রপাতের ধারা উল্টোমুখী

স্যার আইজ্যাক নিউটনের মাধ্যাকর্ষণের টানের সূত্র কম-বেশি সবার জানা। এই টানের কারণেই কোনো বস্তু ফেলে দিলে তা নিচে পড়ে, ওপরে উঠে না। তবে প্রকৃতি মাঝেমধ্যে বিজ্ঞানকেও ছাড়িয়ে যায়। বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজত্ব করে নিজের নিয়মে। এই যেমন ভারতের একটি জলপ্রপাতে ঘটছে উদ্ভট ঘটনা। 

মহারাষ্ট্রের নানেঘাট নামক এলাকায় অবস্থিত নানেঘাট জলপ্রপাতটি। পুনে থেকে প্রায় ১২৯ কিলোমিটার এবং মুম্বই থেকে প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি। ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় ট্রেকিং স্থল। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার কাছে অবস্থিত নানেঘাটের সৌন্দর্য্য কয়েকগুণ বেড়ে যায় বর্ষাকালে। এসময় পর্যটকরা ভিড় জমান এখানে। 


বিজ্ঞাপন


waterfallনানেঘাটের মূল আকর্ষণ নানেঘাট জলপ্রপাত। হবে নাই বা কেন? এখানে যে পানি নিম্নমুখী নয় বরং বয়ে চলে উল্টো দিকে। মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে বয়ে যায় এটি। জলপ্রপাতের কাছেই অবস্থিত লোহাগড় দুর্গ। এই দুর্গ থেকেই স্পষ্টভাবে দেখা যায় জলপ্রপাতটি। 

জীবন্ত রহস্য

নানেঘাট জলপ্রপাতের দিকে তাকালেই দেখা যাবে এটি উল্টো দিকে বইছে। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগবে, এখানে কি তবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কোনো কাজ করে না? কীভাবে এটি সম্ভব? উত্তর হলো- সেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ঠিকই আছে। তবে এই স্থানটিতে প্রবল শক্তিশালী বাতাস প্রবাহিত হয়। এতটাই জোরে বাতাস বয়ে চলে যে জলপ্রপাতের জলধারাকে নিম্নমুখী হতে দেয় না। ঠেলে ওপরের দিকে উঠিয়ে দেয়। 

waterfallউল্টোদিকে বয়ে যাওয়া পানি আবার ছলকে পড়ে নিকটস্থ পর্যটকদের গায়ে। চোখের সামনে এমন দৃশ্য সবাইকে অবাক করে। সত্যিটা জানার পরও নতুন করে অবাক হয়। বাতাসের শক্তি যে এত বেশি হতে পারে তা কেউ কেউ কল্পনাই করতে পারে না। 


বিজ্ঞাপন


নানেঘাটে আরও যা কিছু আকর্ষণীয় 

কেবল ভিন্নধর্মী জলপ্রপাতটিই নয়, নানেঘাটে আরও কিছু আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। ট্রেকিং রুটের শেষপ্রান্তেই রয়েছে একটি প্রাচীন গুহা। প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি পুরনো এটি। সাতবাহন রাজবংশের শাসনাধীন অঞ্চল ছিল এটি। দেবনাগরী এবং ব্রাহ্মী হরফে শিলালিপি আছে এখানে। প্রাচীন ইতিহাস জানতে আগ্রহ থাকলে জায়গাটি হবে আপনার জন্য বেশ উপভোগ্য। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর