মেডিটেশন বা ধ্যান এক ধরনের ব্যায়াম। অনেকে ইয়োগাও বলে থাকেন। মূলত দম চর্চা ও শরীর মনকে প্রশান্ত করে ধ্যান। এটা একটা যোগঅভ্যাস। যা রপ্ত করতে পারলে বহু উপকার মেলে। জেনে নিন ধ্যান করার উপকারিতা।
মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে ধ্যানের বিকল্প নেই। দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা, চাপ বা উদ্বেগ কাটানো অত্যন্ত সহজ মাধ্যম ধ্যান।
বিজ্ঞাপন

অনেকে মনে করেন ধ্যান করার জন্য প্রশিক্ষক বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। তাদের ধারণা পুরোপুরি মিথ্যা নয়। একজন ইয়োগা গুরুর মাধ্যমে ধ্যান শুরু করলে দ্রুত এই যোগঅভ্যাস রপ্ত করা যায়। তবে বই পড়ে ভিডিও দেখে নিজে নিজেও এই কৌশল রপ্ত করতে পারবেন। নিজের বাড়িতে বসে দিনের যে কোনও সময় তা করা যায়।
এটা অতি পুরোনো একটা পদ্ধতি। নিয়মিত ধ্যান করলে একইসঙ্গে হার্ট এবং মনকে সুস্থ থাকে।
জানুন ধ্যানের উপকারিতা
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে ধ্যান চর্চার পথিকৃতে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক শহীদ আল বোখারীর মতে, ধ্যান শুধু মানুষকে প্রশান্তিই দেয় না। তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে। ধ্যানাবস্থায় কল্পনায় চিন্তিত বিষয় বাস্তবে রূপদান করে। যদি সে ভালো কিছু পেতে চায়। এবং ধ্যান অবস্থায় সেটা পাওয়ার উপায় নিয়ে কল্পনা করে।
মেডিটেশন বা ধ্যানের শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ধ্যান ইন্দ্রিয়কে শান্ত করে এবং তাই হরমোনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।
কোয়ান্টাম মেথড বলছে, ধ্যান আমাদের ফোকাস করতে সাহায্য করে। মনোযোগের বাড়াতে সাহায্য করে।
ধ্যান করার সময় প্রশ্বাস নেওয়া হয় ধীরে ধীরে। তা শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসের এই পদ্ধতি ফুসফুসকে প্রসারিত করতে এবং ভালভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
যারা মদ্যপান, মাদকাসক্তি এবং অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন, তাদের প্রায়ই ধ্যান করতে বলা হয়। ধ্যান আসক্তি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

অনেকেরই ঘুমের সমস্যা থাকে। যার কারণ হতে পারে দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা, চাপ বা উদ্বেগ না অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা। দিনের নির্দিষ্ট সময় ধ্যান করলে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এক্ষেত্রে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ধ্যানের ফলে নার্ভ শিথিল থাকে। তাতে উত্তেজনাও কম হয়।
প্রাণায়াম দিয়ে শুরু
আপনি যদি ধ্যান শুরু করতে চান তবে প্রথমে দম চর্চা করুন। এটাকে বলে প্রাণায়াম। প্রাণায়াম করলে আপনি দ্রুত রিলাক্সড হতে পারবেন। শরীর মনে আসবে ফুরফুরে ভাব। ধীরে ধীরে অন্যান্য আসনগুলো রপ্ত করুন।
এজেড

