খাওয়া শেষে কেবল বিছানায় পিঠ রেখেছেন। হঠাৎ শুরু হলো চোঁয়া ঢেকুর। ভাবলেন অ্যাসিডিটির জন্য এমনটা হয়েছে। কিন্তু আসলেই কি কেবল অম্বল হলে চোঁয়া ঢেকুর হয়? অনেকসময় ডিনারে ভারী খাবার খেলে পরদিন সকালেও একইভাবে চোঁয়া ঢেকুর হয়। গলায় টক জল উঠে আসে। এটি কিন্তু মোটেও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা নয়। বরং এ অবস্থাকে লিভার রিফ্লাক্স বলা হয়।
লিভার থেকে নিঃসৃত পিত্ত যখন খাদ্যনালি হয়ে গলায় উঠে আসে, তখন চোঁয়া ঢেকুর দেওয়ার মতোই অনুভূতি হয়। এই অবস্থাকেই বাইল রিফ্লাক্স বা লিভার রিফ্লাক্স বলে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ একে গ্যাস-অম্বল ভেবে ভুল করেন। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের আর লিভার রিফ্লাক্স কিন্তু একদম ভিন্ন।
বিজ্ঞাপন

অ্যাসিড রিফ্লাক্স হলে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালি দিয়ে উপরে উঠে আসে। তবে, যারা ঘন ঘন অ্যাসিড রিফ্লাক্সে ভোগে, তাদের বাইল রিফ্লাক্সের আশঙ্কাও বেশি থাকে। বিশেষত যখন কোনো গ্যাসের ওষুধ কাজ দেয় না। এছাড়া ওবেসিটিতে ভুগলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাইল রিফ্লাক্সের সাধারণ উপসর্গ কী?
- পেটের ওপরের অংশে ব্যথা
- বদহজম, বুকজ্বালা ও গলাজ্বালা
- বমির সঙ্গে হলুদ-সবুজ রঙের পিত্তরস নিঃসরণ
- পেটে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ও অস্বস্তি
বাইল রিফ্লাক্সের সমস্যা এড়াতে করণীয়
১. লো ফ্যাট ডায়েট
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে হবে। এক্ষেত্রে লো ফ্যাট ডায়েট মেনে চলুন।
২. মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন
ভাজাভুজি, মসলাদার খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মদ্যপান, চা-কফি এড়িয়ে চলুন। এধরনের খাবার বাইল ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

৩. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
খাবারে বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদান রাখুন। ওটস, আপেলের মতো খাবার রোজ খান। এগুলো হজম স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪. অল্প করে খান
একসঙ্গে অনেকটা খাবার খাবেন না। অল্প পরিমাণে খাবার খান। দীর্ঘক্ষণ পেট খালি রাখাও চলবে না। ঘন ঘন খাবার খান। অল্প পরিমাণ খান।

৫. হাঁটাহাঁটি করুন
খাবার খাওয়া মাত্রই বিছানায় শুয়ে পড়বেন না। এতে হজমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং বাইল রিফ্লাক্সের সমস্যা বাড়ে। খাওয়াদাওয়া শেষ করে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন।
এনএম


