মুখ বা হাতের সৌন্দর্য রক্ষা রোজ নানারকম প্রসাধনী ব্যবহার করলেও অন্যান্য অঙ্গের বেলায় যত্নের নামই নেই। বিশেষ করে বগল বা আন্ডারআর্মস। সাধারণত ঢেকে থাকে বলে শরীরের এই স্থানটি পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষই খুব একটা মাথা ঘামান না। বগলে রোম হওয়া সাধারণ বিষয় হলেও কালচে ছোপ একদমই মানা যায় না।
বগলে কালো দাগ কেন হয়? কীভাবে এটি দূর করা যায়? চলুন জানা যাক-
বিজ্ঞাপন

বগলের কালো দাগ কেন হয়?
বগলে কালো ছোপ হওয়ার পেছনে এক নয়, একাধিক কারণ থাকতে পারে। যারা ঘন ঘন রোম তোলেন বা ওয়াক্সিং করেন, তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এছাড়া হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, আঁটসাঁট পোশাক পরা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণেও বগলে কালো দাগ পড়ে। আবার অনেকসময় মৃত কোষের স্তর জমলেও আন্ডারআর্মস কালো দেখায়।
বগলের কালো ছোপ দূর করার উপায়—
ত্বক এক্সফোলিয়েট
নিয়মিত ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন। এতে মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেসব এক্সফোলিয়েটরে ল্যাকটিক অ্যাসিড, AHA-এর মতো উপাদান রয়েছে, সেগুলো বেছে নিতে পারেন। সপ্তাহে দুই-একবার এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করুন।

স্কিন ব্রাইটনিং ক্রিম
বগলের কালো দাগ দূর করে স্কিন ব্রাইটনিং ক্রিমের সাহায্য নিতে পারেন। যেসব ক্রিমে নিয়াসিনামাইড, লিকোরাইস বা আলফা আরবুটিন রয়েছে, সেগুলো বেছে নিন। এসব উপাদান আনইভেন স্কিন টোনের সমস্যা দূর করে।
সঠিক ডিওডোরেন্ট
এমন ডিওডোরেন্ট বেছে নিন, যা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভালো। অর্থাৎ, যেসব ডিওডোরেন্টে অ্যালকোহল, সুগন্ধ বা আলুমিনিয়ামের মতো উপাদান নেই সেগুলো ব্যবহার করুন। এসব উপাদান ত্বককে আরও কালো করে দেয়।

ঘন ঘন ওয়াক্সিং বা রেজর নয়
ঘন ঘন ওয়াক্সিং বা রেজর ব্যবহার করলে ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসমস্যা এড়াতে লেজার হেয়ার রিমুভাল ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। এতে রোমের পাশাপাশি কালো ছোপও দূর হয়ে যাবে।
ঘরোয়া প্যাক
বগলের কালো দাগ দূর করতে আলুর রস, অ্যালোভেরা জেল, হলুদ-দইয়ের পেস্ট, লেবুর রস ইত্যাদি মাখতে পারেন। এসব ঘরোয়া টোটকা কালো ছোপ দূর করতে সহায়ক। সপ্তাহে ৩-৪ বার ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করলে ভালো ফল পেতে পারেন।
এনএম

