কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা যিনি ভোগেন তিনিই বোঝেন এর কষ্ট। মল শক্ত হয়ে গেলে এবং মলত্যাগে কষ্ট হলে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। মাঝেমধ্যে এমনটা হলে সমস্যা নেই। তবে এই সমস্যা যদি রোজ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
সাধারণত শরীর হাইড্রেটেড থাকলে বাওয়েল মুভমেন্ট সচল থাকে। কিন্তু অনেকসময় পর্যাপ্ত পানি পান করার পরও কোষ্ঠকাঠিন্য সারতে চায় না। এমন অবস্থায় ভরসা রাখতে পারেন ৪টি বিশেষ পানীয়তে। এসব পানীয় মলকে নরম করে আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

ঈষদুষ্ণ পানি
সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানি খেতে পারেন। রাতে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা পানি পান করা হয় না। তখন কোলন মল থেকে পানি শুষে নেয়। যে কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠে মলত্যাগ করতে বেশ বেগ পেতে হয়। তাই ঘুম থেকে উঠে শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখতে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ পানি খান। এতে মল নরম হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে।
পানির সঙ্গে ফাইবার
এক গ্লাস পানিতে চিয়া সিডস, ইসবগুল বা ফ্লাক্স সিডস ভিজিয়ে খান। এই ধরনের বীজে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার রয়েছে। যা মল পরিষ্কার করে দিতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেতে পারেন। চাইলে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও চিয়া সিডস বা ফ্লাক্স সিডস ভেজানো পানি খেয়ে ঘুমাতে পারেন।

ফার্মেন্টেড পানীয়
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে ফার্মেন্টেড খাবার খেতেই হবে। ফার্মেন্টেড করা খাবারে থাকে প্রোবায়োটিক, যা অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। সাধারণত টকদই, ইডলি-ধোসার মতো খাবারে প্রোবায়োটিক পাওয়া যায়। এছাড়া ফার্মেন্টেড পানীয় হিসেবে লাচ্ছি বা ঘোল, কম্বুচা, কেফির বা কাঞ্জির মতো পানীয় খেতে পারেন। এই ধরনের পানীয় হজমের গণ্ডগোল থেকেও মুক্তি দেবে।
হার্বাল চা
সকালে খালি পেটে চা-কফি না খেলে পেট সাফ হয় না? চা-কফি শরীরকে আরও হাইড্রেটেড করে দেয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তবে এই সমস্যা এড়াতে হার্বাল টি খেতে পারেন। হার্বল চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন থাকে না এবং এটি হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। তাই সকালে সাধারণ চা-কফি খাওয়ার বদলে তুলসি-আদার মতো ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন।
এনএম

