অপেক্ষার প্রহর শেষে শহরবাসীর কাছে ধরা দিয়েছে শীত। গ্রামাঞ্চলে আগে টের পাওয়া গেলেও শহরে গতকাল থেকে শীতের তীব্রতা টের পাওয়া যাচ্ছে। হিমেল বাতাসে কাঁপতে কাঁপতে বেশিরভাগ মানুষই ভাবছেন, চায়ের কাঁপে চুমুক না দিলেই নয়।
এই শীতে চুমুক দিন ৫ রকমে চা’য়ে। যেগুলো শরীরে উষ্ণতা দেওয়ার পাশাপাশি রোগবালাই থেকেও রাখবে দূরে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

১. মসলা চা
চা-প্রেমীদের কাছে এই চায়ের কদর সবসময়ই বেশি। দুধ, চিনি দেওয়া গাঢ় চা যতই অস্বাস্থ্যকর হোক না কেন, ঠান্ডার সময়ে গা গরম রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। ফুল ক্রিম দুধের মধ্যে ছোট এলাচ, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, আদা এবং চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ব্যাস শীতে শরীর উষ্ণ করার মসলা চা রেডি।
২. লেবু-গোলমরিচের চা
ঠান্ডায় সর্দিকাশি বা ফ্লুয়ের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই এই চা খান। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে গোলমরিচে মধ্যে থাকা ক্যাপসাইসিন শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এই চায়ে দুধ, চিনি মেশাবেন না।

৩. আদা-পুদিনার চা
খুসখুসে কাশি, সর্দি-ঠান্ডায় আরাম দেয় আদা-পুদিনার চা। দূর করে সারাদিনের ক্লান্তি। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ভরপুর এই চা গলার ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে।
৪. দারুচিনি-ছোট এলাচের চা
ঠান্ডা দূর করে শরীর গরম রাখার পাশাপাশি বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে দারুচিনি আর এলাচ মিশ্রিত চা। এই চা তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বাড়ায় রক্ত সঞ্চালনও।

৫. দারুচিনি-ক্যামোমাইল চা
সারা দিনের কাজের চাপ, উদ্বেগ, ক্লান্তি কাটাতে দারুণ কাজ করে এই চা। উত্তেজিত স্নায়ু শিথিল করতে এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা নিরাময়ে দারুণ কাজ করে ক্যামোমাইল। আর দারুচিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই চা পান করলে মন ফুরফুরে হয়ে উঠবে, শরীরও গরম থাকবে।
এনএম

