গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে এত জন আহত, নিহত এত— প্রায়ই এমন সংবাদ ভেসে আসে খবরের পাতায়। রান্নাঘরের গ্যাস লিক হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শীতে এই আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। তাই যারা রান্নার কাজে সিলিন্ডার ব্যবহার করেন তাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে।
অনেকসময় গ্যাস যে লিক হয়েছে তা টেরই পাওয়া যায় না। এমনকি সিলিন্ডারের পাইপ থেকে যে গ্যাস বের হচ্ছে তার গন্ধও অনেকে বুঝতে পারেন না। আর এতে ঘটে বিপদ। সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে কিন্তু বোঝা সম্ভব গ্যাস লিক করেছে কি না। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

সিলিন্ডার দাঁড় করিয়ে রাখুন
গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার সবসময় সোজাভাবে দাঁড় করিয়ে রাখুন। সিলিন্ডার কখনোই শুইয়ে রাখবেন না। এতে চাপ সৃষ্টি হয় এবং গ্যাস লিক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া রান্নাঘরের এমন জায়গায় সিলিন্ডার রাখবেন, যেখানে সহজে বায়ু চলাচল করে।
পাইপ চেক করুন
গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে লিকেজ থাকলে গ্যাস বের হবেই। তাই পাইপে কোনো লিক আছে কি না তা যাচাই করে নিন। এজন্য সহজ একটি পরীক্ষা করতে পারেন। পুরো পাইপের গায়ে সাবান-পানি লাগিয়ে নিন। কোনো অংশে বুদবুদ তৈরি হলে বুঝবেন সেই অংশে লিকেজ রয়েছে। নিয়মিত এই কাজটি করলে বড় দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকা সহজ হবে।

রেগুলেটর অফ রাখুন
রান্না শেষ হয়ে গেলেই চুলার নব বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু এইটুকুই যথেষ্ট নয়। রান্নার কাজ শেষ হয়ে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরও বন্ধ করে দিন। এতে গ্যাস লিক হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়। বিশেষত রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিংবা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এই কাজ অবশ্যই করুন।
গ্যাসের গন্ধ এড়িয়ে যাবেন না
সিলিন্ডার থেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে গ্যাস বের থাকলে সেই গন্ধ চেনা যায়। কিন্তু রোজ অল্প মাত্রায় গ্যাস বের হলে অনেকসময়ে তা বোঝা যায় না। এই সমস্যা এড়াতে রান্নাঘরে গাছ রাখুন। রোজ যদি অল্প পরিমাণে গ্যাস নির্গত হয়, তাহলে গাছ শুকিয়ে যাবে। এছাড়াও রান্নাঘরে ঢুকলেই মাথাব্যথা, গা গোলানোর মতো সমস্যায় হলে সতর্ক হোন। গ্যাস লিক হওয়ার কারণে এমনটা হতে পারে।
এনএম

